ত্রিহানা বাগান

যৌথ আন্দোলনে তৃণমূলের একাংশ

তরাইয়ের বন্ধ ত্রিহানা চা বাগান খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করল সিটু এবং আইএনটিইউসি নেতৃত্ব। এই আন্দোলনে বাগানের তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীও যোগ দিয়েছে। শাসক দলের আরেকটি গোষ্ঠী অবশ্য যৌথ আন্দোলনের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নকশালবাড়ি শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:২২
Share:

তরাইয়ের বন্ধ ত্রিহানা চা বাগান খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করল সিটু এবং আইএনটিইউসি নেতৃত্ব। এই আন্দোলনে বাগানের তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীও যোগ দিয়েছে। শাসক দলের আরেকটি গোষ্ঠী অবশ্য যৌথ আন্দোলনের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে।

Advertisement

সোমবার নকশালবাড়ি ব্লকের ত্রিহানা চা বাগানের তিনটি ডিভিশনেই বিরোধীরা সভা করেছেন। প্রথম দু’টি ডিভিশনের সভায় শিলিগুড়ির বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য, আইএনটিইউসি-র উত্তরবঙ্গের নেতা অলোক চক্রবর্তী-সহ দুই সংগঠনের জেলা নেতারা ছিলেন। তৃতীয় ডিভিশনের বৈঠকের আগে অশোকবাবু চলে গেলেও বাকিদের সঙ্গে সভায় যোগ দেন তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী। তাঁরাও বাগান খোলার দাবিতে সরব হন।

তৃণমূল সরকারি সুবিধার কথা বলে শ্রমিক সংগঠন ভাঙানোর চেষ্টা করছেন বলেও এ দিন অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। অশোকবাবুর অভিযোগ, ‘‘বাগানের থেকে ওঁদের সংগঠন নিয়ে চিন্তা বেশি। ভাল কথা, এক দল আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে এসেছিলেন। তবে সরকারি সুবিধার টোপ দিচ্ছেন তৃণমূলের কেউ কেউ।’’ আইএনটিইউসি নেতা অলোকবাবুর দাবি, তৃণমূল না করলে রেশন মিলবে না বলেও বাগানে প্রচার হচ্ছে।

Advertisement

অশোকবাবুদের বৈঠকের পর বিকালে অবশ্য ত্রিহানা মূল ডিভিশনের ৩০০ পরিবার সিটু ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দলের নেতাদের দাবি। সেখানে যান জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি অরূপরতন ঘোষ, আলিপুরদুয়ারের সভাধিপতি মোহন শর্মা এবং বাগানের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নির্জল দে। অরূপবাবু বলেন, ‘‘এক সঙ্গে আন্দোলনের কী আছে! বাগান খুলুক এটাই তো বড় বিষয়।’’ আবার নির্জলবাবুর কথায়, ‘‘ওঁরা এমন আন্দোলন করছেন যে, শ্রমিকেরা আমাদের পাশেই চলে আসছেন।’’

গত ৮ ডিসেম্বর নোট বাতিলের জেরে মজুরির টাকা ব্যবস্থা করতে পারবেন না জানিয়ে বাগান ছেড়ে চলে যান ত্রিহানা বাগান কর্তৃপক্ষ। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ২০ হাজার শ্রমিক পরিবারের সদস্য বিপাকে পড়েছেন। ত্রিহানা, জাবরা এবং মোহনলাল তিনটি ডিভিশনেই এ দিন শ্রমিক বৈঠক হয়। তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী প্রথম দু’টি ডিভিশনে নিজেদের মতো বৈঠক করলেও মোহনলালে আরেকটি গোষ্ঠীর নেতা বাদল দাশগুপ্তের নেতৃত্বে শ্রমিকেরা যান। বাদলবাবু বলেন, ‘‘সবাই মিলে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোটাই বড়। বাগান খুললে যে যার মতো রাজনীতি করা যাবে।’’

তৃণমূলের দলবদল, বৈঠকের ঘন্টাখানেক পরেই বিডিও দফতর থেকে বাগানে ক্যাম্প চালু হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের নাম-সহ বিস্তারিত বিবরণ নথিভুক্ত করা শুরু হয়। আজ, মঙ্গলবার বাগান খোলার দাবিতে সিটু, আইএনটিইউসি নেতারা যুগ্ম শ্রম কমিশনারের দফতরে স্মারকিলি দেবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন