শহরে আকাল পতঙ্গবিদের

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা দার্জিলিং জেলায় ডেপুটি সিএমওএইচ-২ এর অধীনে কাজ করছেন মাত্র ২ জন চুক্তিভিত্তিক পতঙ্গবিদ। ফলে গোটা জেলায় পতঙ্গবাহিত রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা ধুঁকছে

Advertisement

শুভঙ্কর চক্রবর্তী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:৫০
Share:

পদক্ষেপ: মশা মারতে স্প্রে করা হচ্ছে তেল। শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র

পতঙ্গবাহিত রোগ বাড়ছে শিলিগুড়িতে। প্রতি বছরই শহরে সেরকম কোনও রোগে মারা যাচ্ছে রোগী। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পতঙ্গবাহিত রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে পতঙ্গবিদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল অথবা পুরসভা কোথাও কোনও পতঙ্গবিদ নেই।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা দার্জিলিং জেলায় ডেপুটি সিএমওএইচ-২ এর অধীনে কাজ করছেন মাত্র ২ জন চুক্তিভিত্তিক পতঙ্গবিদ। ফলে গোটা জেলায় পতঙ্গবাহিত রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা ধুঁকছে। পাশাপাশি কীটনাশক ব্যবহারও নির্দিষ্ট কোনও ব্যবস্থাপনা মেনে কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল ও পুরসভায় স্থায়ী পতঙ্গবিদ নিয়োগে দাবিও উঠেছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে যে হারে পতঙ্গবাহিত রোগ বাড়ছে তাতে পতঙ্গবিদ প্রয়োজন। মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল সবখানেই স্থায়ী পতঙ্গবিদ দরকার। আমরা বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’’ মেডিক্যাল কলেজে যাতে পতঙ্গবিদ দেওয়া হয় তার জন্য স্বাস্থ্য দফতরেও আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিশেষজ্ঞরা জানান, কোনও পতঙ্গ দমনের জন্য কী করণীয়, কোনও এলাকায় ক্ষতিকর পতঙ্গ কতটা বেড়েছে তার সমীক্ষা করে থাকেন পতঙ্গবিদরা। তাছাড়া পতঙ্গ দমনের জন্য যেসব কীটনাশক ব্যবহার হয় তা কোথায় কত পরিমাণে ব্যবহার হবে তার পদ্ধতিগত দিকেও নজর রাখেন তাঁরা। আবার ক্ষতিকর পতঙ্গ দমন করতে গিয়ে যাতে সমস্ত পতঙ্গ না মরে যায়, বাস্তুতন্ত্রে কোনও খারাপ প্রভাব না পড়ে সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করার দায়িত্ব পতঙ্গবিদদের।

Advertisement

পতঙ্গবাহিত রোগ নির্ণয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ‘ভেক্টরবর্ন ডিজিস কন্ট্রোল টিম’ তৈরি করেছে শিলিগুড়ি পুরসভা। কিন্তু পতঙ্গবিদ না থাকায় সেই টিম সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না বলেই জানিয়েছেন পুর আধিকারিকরা। শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পুরসভার কাছে পতঙ্গবিদ নেই। আমরা স্বাস্থ্য দফতরের সাহায্য নেই।’’ দার্জিলিংয়ের ডেপুটি সিএমওএইচ তুলসি প্রামাণিক বলেন, ‘‘পতঙ্গবিদ নিয়োগের ব্যাপারে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সিদ্ধান্ত নেবে। ওই বিষয়ে কিছু বলব না। যে দুজন চুক্তিভিত্তিক কর্মী রয়েছেন প্রয়োজন অনুসারে তাঁরাই কাজ করছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন