আলোচনা: মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনকারীরা। নিজস্ব চিত্র।
শেষ পর্যন্ত সুর নরম করে আগামিকাল, ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিলিগুড়িতে আন্দোলন স্থগিত রাখার কথা জানালেন অস্থায়ী সাফাইকর্মীরা। কর্মবিরতি রেখে আন্দোলন স্থগিত হওয়ায় আজ রবিবার থেকেই তাঁরা কাজে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। শনিবার অবশ্য কাজে যোগ দিয়েছেন স্থায়ী কর্মীরা। গোলমাল এড়াতে বরো অফিসে পুলিশ মোতায়েনও হয়েছিল।
শুক্রবার মন্ত্রী গৌতম দেবের ডাকা বৈঠকে না-গেলেও এ দিন আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা কিরণ রাউত মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ দিন ফের তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কাজে যোগ না-দেওয়া, ময়লার ভ্যাট শহরের রাস্তায় উল্টে দেওয়া, স্থায়ী কর্মীদের কাজ করতে না-দেওয়া, পুরসভার গাড়ি ভাঙচুরের মতো গত কয়েকদিনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুরসভার তরফে পুলিশে অভিযোগও দায়ের হয়। মন্ত্রীর তরফেও কড়া হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন শহরের বাসিন্দারা। এর পরেই সুর নরম করেন আন্দোলনকারীরা।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুর প্রশাসক বোর্ডের তরফে কর্মী ইউনিয়ন এবং পরিষদীয় দলগুলোর সঙ্গে এ দিন পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা বৈঠক হয়। প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য জানান, আলোচনায় কর্মী সংগঠনগুলোর দাবি মেনে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির কথা জানানো হয়েছে। তাঁদের সকলকে কাজে যোগ দিতে আহ্বান করেন তিনি।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘তাঁদের বলা হয়েছে, দাবিগুলোকে মান্যতা দেওয়া হবে। কিন্তু কাজ বন্ধ রাখা যাবে না।’’ সাফাইকর্মীদের বিরুদ্ধে এখনই কড়া ব্যবস্থা যাতে না হয় তা দেখতে পুরসভাকে বলেছেন বলে জানান তিনি। উত্তরবঙ্গ সাফাই কর্মচারী সমিতির তরফে কিরণ বলেন, ‘‘মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। সেই কারণে আন্দোলন স্থগিত রাখা হচ্ছে। ২২শে ফের দাবি নিয়ে আলোচনায় বসব।’’
বিভিন্ন দাবিতে চারদিন ধরে শহরে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করছিলেন সাফাইকর্মীরা। শুক্রবার মন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে না যাওয়ায় মতানৈক্য দেখা দেয় আন্দোলনকারীদের মধ্যেই। এ দিন বৈঠকে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের তরফে সুজয় ঘটক, বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার জানতে চান, সাফাইকর্মীদের বেতন ১০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গত মার্চে হলেও কেন তা স্থগিত ছিল। বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে মালতি রায়ও বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্ব দিতে বলেন। মন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘‘সাফাই বিভাগে বহু কর্মী নিয়োগ হয়েছেন যাঁরা ওই কাজে যুক্তই নন।’’ অশোকের দাবি, ভুয়ো সাফাইকর্মীর তালিকা মন্ত্রী দিন, দেখা হবে।