Fraud

Fraud: বিদ্যুৎ বিলে ১০ টাকা বকেয়া মেটাতে গিয়ে খোয়া গেল ৪০ হাজার! থানায় হাজির অধ্যাপক

অধ্যাপকের দাবি, সব মিলিয়ে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২২ ২২:৫০
Share:

বিল হাতে সেই অধ্যাপক। — নিজস্ব চিত্র।

শীঘ্রই বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া অর্থ মিটিয়ে না ফেললে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হবে। মোবাইলে এই মর্মে ব্যক্তিগত বার্তা পাওয়ার পর অনলাইনে বিদ্যুৎ বিলের ১০ টাকা বকেয়া মেটাতে গিয়ে ৪০ হাজার টাকা খোয়ালেন এক ব্যক্তি। তিনি শুধু প্রতারণারই শিকার হননি, তাঁর নম্বর থেকে বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অশ্লীল বার্তাও পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনই প্রতারণাচক্রের শিকার হলেন কোচবিহারের মাথাভাঙা কলেজের অধ্যাপক আমজাদ হোসেন। এই ঘটনার পরেই সাইবার থানার দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।

Advertisement

আমজাদ ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। তিনি জানান, বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া ১০ টাকা পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে তাঁর ফোনে একটি ব্যক্তিগত বার্তা পাঠানো হয়। যে নম্বর থেকে ওই বার্তা পাঠানো হয়েছিল, সেই নম্বরে অধ্যাপক ফোন করলে তাঁকে জানানো হয়, বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে প্লে স্টোর থেকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তির বলে দেওয়া প্রক্রিয়া মতো অ্যাপ ডাউনলোড করে টাকা পাঠানোর চেষ্টা করেন অধ্যাপক। তাঁর অভিযোগ, কিন্তু গোটা প্রক্রিয়া যথাযথ ভাবে অনুসরণ করলেও তাঁর ফোন থেকে টাকা পাঠানো যায়নি। বাধ্য হয়ে তিনি তাঁর স্ত্রীর ফোন থেকে টাকা পাঠাতে গেলেই একের পর এক ওটিপি আসতে শুরু করে। অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে ওটিপির নম্বর জানাতেই দেখেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ক্রমাগত টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।

অধ্যাপকের দাবি, সব মিলিয়ে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। তা বুঝতে পেরেই ফোনে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথন বন্ধ করে দেন তিনি। এর পরেই আমজাদ লক্ষ্য করেন, তাঁর ফোন থেকে বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অশ্লীল মেসেজ যেতে শুরু করেছে। এর পরেই কোচবিহার সদরে এলে সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যাপক। পুলিশ সূত্রে খবর, আমজাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে কোচবিহারের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement