নিহত: পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে কুকুরটিকে। নিজস্ব চিত্র।
একটি কুকুরকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকালে ওই অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় রায়গঞ্জের কাঞ্চনপল্লি এলাকায়। এদিন বিকালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ওই কুকুরটি মারা যায়। তার আগে এদিন দুপুরে রায়গঞ্জ পিপল ফর অ্যানিম্যালসের তরফে কাঞ্চনপল্লি এলাকার বাসিন্দা অমৃত পাল নামে অভিযুক্ত ওই যুবকের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়।
বিকালে ওই সংগঠনের সম্পাদক অজয় সাহার নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা কুকুরটির মৃতদেহ নিয়ে থানায় গিয়ে আইসির কাছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পশু খুনের মামলা দায়ের করার দাবি জানান। রায়গঞ্জ থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের দাবি, ‘‘শনিবার রায়গঞ্জের পশু হাসপাতালে কুকুরটি মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
অজয়বাবুর অভিযোগ, এদিন সকাল ৮টা নাগাদ কাঞ্চনপল্লি এলাকার বাসিন্দা পেশায় মৃত্শল্পী অমৃতবাবুর বাড়ির সামনে ওই কুকুরটি ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় আচমকা তিনি একটি কাঠের বাটাম দিয়ে কুকুরটির মাথায় সজোরে আঘাত করেন। এরপর তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় কুকুরটিকে একটি বস্তায় ভরে সেটিকে স্থানীয় সুভাষগঞ্জ এলাকার কুলিক নদীর ধারে ফেলে আসেন।
অজয়বাবুর দাবি, ওই ঘটনার পর এলাকার পশুপ্রেমী কিছু বাসিন্দা ফোন করে তাঁকে ঘটনার কথা জানান! বিষয়টি জানার পর তাঁরা কুলিক নদীর ধারে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুকুরটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু এদিন বিকালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় কুকুরটি মারা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুকুরটি এ দিন অমৃতবাবুর বাড়ির সামনে মলমূত্র ত্যাগ করেছিল। সেই রাগেই তিনি কুকুরটিকে পিটিয়ে খুনের চেষ্টা করে দেহটি বস্তায় ভরেন। কুকুরটি মারা গিয়েছে ভেবে এরপর সেটিকে তিনি নদীর ধারে ফেলে আসেন। এরকম অমানবিক ঘটনা এর আগে রায়গঞ্জ শহরে ঘটেনি। অজয়বাবু বলেন, ‘‘পুলিশকে সমস্ত বিষয় জানানো হয়েছে। পুলিশ আমাদের দায়ের করা আগের অভিযোগ ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের না করলে সংগঠনের তরফে অনির্দিষ্টকালের জন্য থানা চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভে বসা হবে।’’
অভিযুক্ত অমৃতবাবুর দাবি, ‘‘কুকুরটিকে কে বা কারা মেরেছে জানি না। মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’