Examination

পরীক্ষায় ‘বিধিভঙ্গ’

ইন্টারনেট দুর্ভোগে জেরবার হতে হয়েছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের। প্রথম দিকে, প্রশ্নপত্র ইমেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইন্টারনেট সমস্যায় অধ্যাপকেরা হোয়াটসঅ্যাপে পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেন প্রশ্নপত্র।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২০ ০২:২৬
Share:

পরীক্ষা: স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই খাতা জমা দেওয়ার ভিড় ইসলামপুর কলেজে। নিজস্ব চিত্র

কোথাও কলেজ মাঠে বসেই চলল পরীক্ষা, কোথাও উত্তরপত্র জমা দিতে কলেজে ছুটলেন পরীক্ষার্থীরা। করোনা-আবহে অনলাইনে পরীক্ষার প্রথম দিনেই অফলাইনে ভরসা রাখলেন মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের পরীক্ষার্থীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, প্রত্যন্ত গ্রামে দুর্বল নেটের জন্যই নিরুপায় হয়ে ছুটতে হয়েছে কলেজে। ফলে উধাও হয় সামাজিক দূরত্ব বিধি। তাই আগামী দিনের পরীক্ষা নিয়ে চিন্তায় খোদ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ কর্তৃপক্ষই।

Advertisement

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মালদহ ও দুই দিনাজপুরের মোট ২৫টি কলেজ রয়েছে। এ দিন স্নাতকের চূড়ান্ত বর্ষের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা ছিল। প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা কলেজগুলিকেই করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্র আপলোড এবং ডাউনলোড করতেই হিমশিম খেতে হয় পরীক্ষার্থীদের। অধ্যাপকদের একাংশ জানান, প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা সব বিষয়ে থাকে না। তাতেও সমস্যায় পড়লেন বহু পরীক্ষার্থী। আজ, শুক্রবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের সিমেস্টার পরীক্ষা রয়েছে। এ ছাড়া সোমবার থেকে স্নাতকের লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে। সেই সময় আপলোড এবং ডাউনলোডে সমস্যা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার বলেন, “প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা প্রায় নির্বিঘ্নেই হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য আরও কী করা যায় তা ভাবা হচ্ছে।”

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর মহাকুমার একাধিক কলেজ। সেই কলেজগুলিতে ছিল লিখিত পরীক্ষা। এ দিন ইসলামপুর কলেজ মাঠে একসঙ্গে বসে পরীক্ষা দিতে দেখা যায় কিছু পরীক্ষার্থীকে। অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক ছিল না। ছিল না সামাজিক দূরত্বও। আরজু সাবনাম, তাপসী বিশ্বাস বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকায় বসে পরীক্ষা দিতে গেলে ইন্টারনেটের সমস্যা হতে পারে। সেই কারণে কলেজের আশপাশে বসে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর সময়ের মধ্যে অফলাইনে কলেজে গিয়ে উত্তরপত্রও জমা দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

এ দিকে, ইন্টারনেট দুর্ভোগে জেরবার হতে হয়েছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের। প্রথম দিকে, প্রশ্নপত্র ইমেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইন্টারনেট সমস্যায় অধ্যাপকেরা হোয়াটসঅ্যাপে পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেন প্রশ্নপত্র। হোয়াটসঅ্যাপেই উত্তরপত্র জমা দেন পরীক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, “দুর্বল ইন্টারনেটের জন্য পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হয়েছিল। জরুরি ভিত্তিতে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে।”

তথ্য সহায়তা: অভিজিৎ সাহা, গৌর আচার্য, অভিজিৎ পাল, নীহার বিশ্বাস

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন