দুষ্কৃতী ধরতে কম্পিউটার স্কেচ

ছিনতাইবাজদের ধরতে কম্পিউটারে স্কেচ তৈরি করল পুলিশ। রবিবার রাতে আলিপুরদুয়ার শহরের কালকূট সেতুর কাছে ৩১ নম্বর সড়কে ছিনতাই করে একদল দুষ্কৃতী। একটি রির্সট থেকে ফেরার সময় রাস্তায় গাড়ির লাইন দেখে নিজেদের গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন এক দম্পতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৬ ০২:১৮
Share:

ছিনতাইবাজদের ধরতে কম্পিউটারে স্কেচ তৈরি করল পুলিশ। রবিবার রাতে আলিপুরদুয়ার শহরের কালকূট সেতুর কাছে ৩১ নম্বর সড়কে ছিনতাই করে একদল দুষ্কৃতী। একটি রির্সট থেকে ফেরার সময় রাস্তায় গাড়ির লাইন দেখে নিজেদের গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন এক দম্পতি। শহরের মিলন সঙ্ঘ এলাকার বাসিন্দা রূপম বিষ্ণু, তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা ও আরও এক যুবক ছিল গাড়িতে। সেই সময় আচমকা সামনের জানলার কাঁচ ভেঙে যাত্রীদের কাছ থেকে সোনা, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতী দলটি। যদিও ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও দুষ্কৃতী এখনও গ্রেফতার হয়নি। তবু পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরার জন্য স্কেচ আকাঁনোয় আশার আলো দেখছে ওই পরিবার।

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। ওই মহিলা দেবাঙ্গনা সাহা বিষ্ণু এক দুষ্কৃতীর মুখ দেখেছিলেন। তদন্তের জন্য বিশেষ আর্টিস্টকে দিয়ে কম্পিউটারে দুষ্কৃতীর চেহারার স্কেচ আকাঁনো হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ দেবাঙ্গনাদের বাড়িতে যান পুলিশের বিশেষ আর্টিস্ট। তিনি জানান, রবিবার রাতের ঘটনা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না তাঁরা। গাড়িটি রাস্তায় দাঁড় করানোর কয়েক মিনিটের মধ্যে জানলার কাচ ভাঙে ওই দুষ্কৃতী। ভাঙা কাচ ছিটকে তাঁর মুখে ঢুকে যায়। সেই সময় দুষ্কৃতীর মুখে রুমাল বাঁধা ছিল। কিছু ক্ষণ পরে রুমালটি খুলে যায়। লুঠপাট চালানোর সময় তার মুখটি দেখেন তিনি। এ দিন একটা থেকে তিনটে পর্যন্ত প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে দুষ্কৃতীর স্কেচ তৈরি হয় তাঁদের বাড়িতেই। দেবাঙ্গনা বলেন, “পুলিশ তৎপর তা স্কেচ আর্টিস্ট আসায় বুঝতে পারি। আশা করছি পুলিশ দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরবে।”

Advertisement

সেই রাতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটা গাড়িটির সামনেই গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন চিকিৎসক মার্তণ্ড মণ্ডল। তিনি জানান, ওই রিসর্ট থেকে তিনিও ফিরছিলেন। রাস্তায় গাড়ির লাইন দেখে তিনিও গাড়ি থামান। পরে জানতে পারেন রাস্তায় গাছ কেটে ফেলে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা।

আলিপুরদুয়ার যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সমর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পর্যটন মরসুম শুরু হয়েছে। জাতীয় সড়কে আরও পুলিশ টহলদারি বাড়ানোর কথা পুলিশ সুপারকে বলব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement