প্রার্থী বাছাই নিয়ে তুঙ্গে কাজিয়া

মাস কয়েক আগে ব্লকে ব্লকে পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনের ডাক দেয় জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস৷ তার আগেই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতারা পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলন শুরু করে দেন৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৩৯
Share:

প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। তার আগেই শুরু দেওয়াল লেখা। হাত লাগিয়েছেন তৃণমূলের মহিলা কর্মীরাও। কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র 

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করলেন দলেরই যুব সংগঠনের নেতারা৷ শুধু তাই নয়, নিজেদেরকে দলের প্রধান চালিকাশক্তি বলে দাবি করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসাবে ‘উপযুক্ত’ নেতাদের একটা প্রার্থী তালিকাও তৈরি করে ফেলেছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতারা৷ যা আবার মানতে নারাজ দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব৷ সব মিলিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন থেকেই শাসক দলের ঘরোয়া কোন্দল শুরু জলপাইগুড়িতে৷

Advertisement

মাস কয়েক আগে ব্লকে ব্লকে পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনের ডাক দেয় জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস৷ তার আগেই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতারা পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলন শুরু করে দেন৷ এতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে প্রকাশ্যেই বিরোধ বাঁধতে চলেছে তার আভাস মিলেছিল৷ শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই আশঙ্কাই দানা বাঁধছে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে৷

পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী তালিকা এখনও চূড়ান্ত করেনি তৃণমূল কংগ্রেস৷ কিন্তু তার আগেই সোমবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়িতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ বৈঠকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির বিরোধী বলে পরিচিত দলের যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সাফ বলেন, ‘‘ এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৪৫ বছরের নীচে ৬৫ শতাংশ ভোটার রয়েছেন৷ ৫০ বছরের নীচে রয়েছেন ৬৯ শতাংশ ভোটার৷ এর একটাই অর্থ- যুব সমাজের ভোটের ওপরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে এ বারের গোটা নির্বাচনপর্ব৷ তাই আমরা চাই, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে উপযুক্ত তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতাদের উপযুক্ত জায়গায় প্রার্থী করা হোক৷’’

Advertisement

তাদের সংগঠনের কোন কোন নেতা প্রার্থী হওয়ার উপযোগী তার তালিকাও তাঁরা তৈরি করে ফেলেছেন বলে এ দিন জানান সৈকতবাবু৷ তবে তাঁর কথায়, ‘‘আমরা চাই একটা স্ক্রিনিং কমিটি তৈরি হোক৷ সেই কমিটি এবং দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব সহ জেলার পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস ও আমাদের সংগঠনের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই প্রার্থী তালিকা জমা দেব৷’’

সৈকতবাবুর এ দিনের মন্তব্য নিয়ে দলের জেলা সভাপতি সৌরব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এটা যে শহরের ভোট নয় তা হয়তো সৈকতবাবু ভুলে গিয়েছেন৷ পাশাপাশি উনি হয়তো বুথ কমিটির বিষয়টিও জানেন না৷ তাই এ ধরণের কথা বলছেন৷ ওনার সঙ্গে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে কথা বলব৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন