জলপাইগুড়িকে বঞ্চনার নালিশ কংগ্রেসের

জলপাইগুড়ি শহরের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামল কংগ্রেস। মঙ্গলবার শহরের পিডব্লিউডি মোড়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান আন্দোলন করে কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগ, “রাজ্য সরকারের অবহেলায় জেলা সদর শহর গৌরব হারাতে বসেছে।” তিনি জানান, দীর্ঘ দিন থেকে শহরের আশপাশের এলাকা নিয়ে কর্পোরেশন ঘোষণার দাবি উঠলেও কিছুই হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৫৬
Share:

জলপাইগুড়ি শহরের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামল কংগ্রেস। মঙ্গলবার শহরের পিডব্লিউডি মোড়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান আন্দোলন করে কংগ্রেস।

Advertisement

জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগ, “রাজ্য সরকারের অবহেলায় জেলা সদর শহর গৌরব হারাতে বসেছে।” তিনি জানান, দীর্ঘ দিন থেকে শহরের আশপাশের এলাকা নিয়ে কর্পোরেশন ঘোষণার দাবি উঠলেও কিছুই হয়নি। উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে উড়াল পুলের দাবিও। হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ এখনও অধরা। অথচ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতর শহর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “শহরে চারটি উড়াল পুলের দাবি দীর্ঘদিনের। বামফ্রন্ট সরকার দাবি পূরণ করেনি। পালা বদলের পরেও একই কায়দায় বঞ্চনা শুরু হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।”

এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শতাধিক কংগ্রেস কর্মী অবস্থান আন্দোলনে বসেন। বেলা আড়াইটে নাগাদ রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। দলীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ) বামফ্রন্ট আমলের মত এখনও শুধুমাত্র শিলিগুড়ির উন্নয়নে সচেষ্ট। ওই সংস্থার মাধ্যমে জলপাইগুড়ি শহরের কোনও উন্নয়ন হবে না। সেই কারণে পৃথক জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের দাবি জানান হয়েছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “জলপাইগুড়ি শহরকে বিভিন্ন কৌশলে বঞ্চনা চলছে। বামফ্রন্টের সময় এসজেডিএ-র মাধ্যমে সমস্ত বড় প্রকল্প শিলিগুড়িতে হয়েছে। সেই ধারাও অব্যাহত।”

Advertisement

অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, জেলা জুড়ে উন্নয়নের গতি দেখে কংগ্রেস নেতৃত্ব দিশেহারা। দলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “শহরে উন্নয়নের নজির দেখেই তো কংগ্রেসি কাউন্সিলাররা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের উচিত ভিত্তিহীন কথা না বলে নিজেদের ঘর সামলানো।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন