মাথায় মৌসম, কমিটি নিয়ে প্রশ্ন

বিরোধীদের পাশাপাশি কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দুই পুরসভার শাসক দলেরও কাউন্সিলরদের একাংশ। তাঁদের দাবি, পুরসভার জনপ্রতিনিধি কেউ না থাকলে কখনও কমিটির মাথায় বসতে পারেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৩২
Share:

মৌসম নুর। —ফাইল চিত্র

মালদহে তৃণমূল পরিচালিত দুই পুরসভায় কমিটি করে মাথায় বসানো হয়েছে দলেরই জেলা সভাপতি মৌসম নূরকে। আর পুরসভার মতো স্বশাসিত সংস্থার মাথার উপরে দলের জেলা সভাপতিকে বসানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Advertisement

বিরোধীদের পাশাপাশি কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দুই পুরসভার শাসক দলেরও কাউন্সিলরদের একাংশ। তাঁদের দাবি, পুরসভার জনপ্রতিনিধি কেউ না থাকলে কখনও কমিটির মাথায় বসতে পারেন না। যদিও পুরসভার নয়, দলের কাউন্সিলরদের মাথায় সভাপতিকে বসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

তৃণমূল পরিচালিত ইংরেজবাজার এবং পুরাতন মালদহ পুরসভায় পুরপ্রধানদের বিরুদ্ধে দলেরই কাউন্সিলরদের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর অনাস্থা আনায় ডামাডোল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় রাজ্য নেতৃত্বকে। এবারে মনিটরিং কমিটি করে দুই পুরসভার মাথার উপরে বসানো হয়েছে মৌসম নুরকে। গত, সোমবার পুরসভাগুলিতে গিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলার পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানি। আর তাতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, পুরসভার মতো স্বশাসিত সংস্থায়, যেখানে নির্বাচনের মাধ্যমে পুরবোর্ড গঠন হয়, সেখানে মৌসমকে কেন মাথার উপরে বসানো হল। এই প্রশ্নে সরব হয়েছেন বিরোধী কাউন্সিলরেরা। বিরোধীদের মতোই কমিটির মাথায় দলের জেলা সভাপতিকে বসানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলেরই কাউন্সিলরদের একাংশ।

Advertisement

ইংরেজবাজার পুরসভার সিপিএমের কাউন্সিলর দুলাল নন্দন চাকি বলেন, “তৃণমূল কাউন্সিলরদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বে পুরসভায় ডামাডোল পরিস্থিতি। দলের আলোচনা পুরসভায় গিয়ে হচ্ছে। এবার পুরসভার মাথায় উপরে তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে বসানো হচ্ছে। তৃণমূল পুরসভাকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করছে।”

তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। বিজেপির জেলা নেতা অজয় গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “তৃণমূলের নিজেদের দ্বন্দ্বে শহরবাসী পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শহরের রাস্তাঘাটে আবর্জনা জমে থাকছে, নিকাশি বেহাল, রাস্তাঘাট বেহাল হয়ে রয়েছে। মানুষের উন্নয়নের কথা না ভেবে তাঁরা নিজেদের কথা ভাবছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন