সংখ্যালঘু সদস্যে আগ্রহ

কোচবিহারে বিজেপি সাড়ে ৪ লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যে কাজ করছে। চলতি মাসের ১০ তারিখে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা আরও দশ দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ০৪:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

এ বার সংখ্যালঘুদের মধ্যে সদস্য সংখ্যা বাড়াতে জোর দিল বিজেপি। কোচবিহারের মতো জায়গায় সংখ্যালঘু নেতাদের পাশাপাশি দলের প্রায় প্রত্যেকেই সেদিকে নজর দিয়েছে। ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘুদের একটি অংশ বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন বলে একাধিক নেতা দাবি করেছেন। দল মনে করছে, কোচবিহারের মতো সীমান্ত এলাকায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে সংখ্যালঘুদের ভোট প্রয়োজন রয়েছে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “বিজেপির সদস্য সবাই হতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই আমরা লক্ষ্য পূরণের কাছে চলে গিয়েছি।” বিজেপির আরেক নেতা দিনহাটার বাসিন্দা তথা জলপাইগুড়ির পর্যবেক্ষক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “সংখ্যালঘুদের মধ্যেও বিজেপির সদস্য হওয়ার আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। সীমান্ত এলাকায় প্রচুর সংখ্যালঘু সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন।”

Advertisement

কোচবিহারে বিজেপি সাড়ে ৪ লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যে কাজ করছে। চলতি মাসের ১০ তারিখে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা আরও দশ দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আগামী ২০ অগস্ট পর্যন্ত বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলবে। জেলা বিজেপি সূত্রের খবর, তাঁরা এখনও সাড়ে চার লক্ষের লক্ষ্যপূরণ করতে পারেননি। কিন্তু সেই লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছেন তাঁরা। কোচবিহারে ২৫ শতাংশের উপরে সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন। সেই ভোটারদের বড় অংশ এখনও রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে রয়েছেন। এই অবস্থায় সেখানে থাবা বসাতে না পারলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের কোচবিহারের ৯টি বিধানসভাতেই কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে বিজেপিকে। সে কথা মাথায় রেখেই সংখ্যালঘুদের মধ্যে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। এক দিকে সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতির দায়িত্বে থাকা আলি হোসেন কোচবিহারের বাসিন্দা। তাঁকে যেমন দল মাঠে নামিয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক ছিটমহলের সংখ্যালঘুদের একটি বড় অংশ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। তাঁদেরও দল মাঠে নামিয়েছে।

দীপ্তিমান ছিটমহল আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে জড়িয়ে ছিলেন। ছিটমহল বিনিময় হয়ে যাওয়ার পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। সেই সময় সংখ্যালঘুদের ওই অংশ তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেয়। তাঁদেরই কয়েক জন মশালডাঙার জয়নাল আবেদিন, কবীর হোসেনরা বিজেপির যুব সংগঠনের একাধিক দায়িত্ব পেয়েছেন।

Advertisement

তাঁরা বলেন, “সংখ্যালঘুরা বিজেপির উপরেই আস্থা রাখতে শুরু করেছেন। সদস্য হতে চেয়ে এখন অনেকেই আবেদন করছেন।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কার্‍্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় অবশ্য বলেন, “বিজেপির কাজকর্ম সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তাই কোনও মানুষই এখন আর বিজেপিতে যাচ্ছেন না। যারা গিয়েছেন তাঁরাও ফিরে আসছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন