প্রতীকী ছবি
আক্রান্তের হারকে টপকে গেল সুস্থতার হার। শনিবার কোচবিহার জেলা প্রশাসন কোভিড বুলেটিনে জানিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের দিন পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে কোচবিহারে আক্রান্ত হয়েছে ৫৭ জন। সুস্থ ৮৬ জন।
রবিবার সন্ধে পর্য়ন্ত দেওয়া তথ্যে জানানো হয়েছে, জেলায় ৩০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৩২ জন। নতুন করে আক্রান্তের হারের সঙ্গে সুস্থতার হার পাল্লা দিতে শুরু করায়
খুশি স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা মনে করছেন, লোকজন আরও সতর্ক হলে আক্রান্তের হার আরও কমানো সম্ভব। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, সবসময় জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ বাসিন্দাদের দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “অন্যান্য জেলার তুলনায় কোচবিহারে সুস্থতার হার বেশি রয়েছে। সেই সঙ্গে মৃত্যুহারও খুবই কম।”
জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত কোচবিহারে ৩৬ হাজারের বেশি মানুষের লালারস পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে ১৪৬৫ জনের
রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। রবিবার সন্ধে পর্যন্ত নতুন করে আরও ৩০ জন আক্রান্ত হওয়ায় ওই সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৯৫ জন। দেড় হাজার ছুঁইছুঁই। তার মধ্যে শনিবার পর্যন্ত ১১৭৮ জন সুস্থ হয়েছেন। রবিবার আরও ৩২ জন সুস্থ হওয়ায় ওই সংখ্যা ১২১০ জন। বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। জেলার তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত একজন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। যদিও মৃত্যু নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনেরই আরেকটি অংশেই দাবি
করা হয়েছে, জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক বাসিন্দার। শিলিগুড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে সেই সংখ্যা ৫ থেকে ৬ জন হতে পারে। সব ক্ষেত্রেই অবশ্য বার্ধক্যজনিত নানা রকম রোগে আক্রান্তদেরই মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “বয়সে তরুণ আক্রান্তরা চিকিৎসায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। প্রবীণ বা যারা অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা চলছে।” কোচবিহার শহরের এক কোভিড জয়ী গৃহবধূ বলেন, “বাড়িতেই সাতদিন আলাদা হয়েছিলাম। গরম জল খাওয়া, ভাপ নেওয়ার মতো কিছু বিষয় নিয়মিত করেছি। তাতেই সুস্থ হয়ে উঠেছি।”
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)