ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া রুখতে এক মাস রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে একাধিক কেন্দ্রীয় বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষাও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডাক্তারি স্তরের (এমবিবিএস) পঠনপাঠন বন্ধ হয়নি, উল্টে প্রকাশ করা হয়েছে পরীক্ষার রুটিন। পুরো ঘটনাতেই কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ পড়ুয়া থেকে অভিভাবক প্রত্যেকেই।
পড়ুয়াদের একাংশ জানালেন, মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষে ১৭ মার্চ পড়ুয়াদের পরীক্ষার রুটিনও প্রকাশ করেছেন। সেই অনুযায়ী, ২১-৩০ এপ্রিল ডাক্তারি স্তরের পড়ুয়াদের পরীক্ষা হওয়ার কথা। তবে তাঁরা আরও জানান, নির্দেশিকার তোয়াক্কা না করেই এর মধ্যেই অনেক পড়ুয়া বাড়ি ফিরতেও শুরু করেছেন।
ওই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ দিলীপ পালের দাবি, ‘‘ডাক্তারি স্তরে ছুটি দেওয়া হবে কি না, —তা জানতে চেয়ে ক’দিন আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু দফতরের তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তাই সরকারি নির্দেশ না মেলায় তাঁরা ছুটি ঘোষণা করেননি।’’ তবে তিনি আরও জানান, গত চারদিন ধরে ডাক্তারি স্তরের পড়ুয়ারা কোনও ক্লাস করছেন না।
হাসপাতালের সহকারি সুপার বিপ্লব হালদারের দাবি, ‘‘পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ডাক্তারি স্তরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত করেছেন। তবে প্রয়োজনে সেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হবে।’’
গত বছরের অগস্টে ওই মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি স্তরের পঠনপাঠন শুরু হয়। বর্তমানে সেখানে প্রথম বর্ষের ৯৯জন পড়ুয়া রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন ভিন্রাজ্য থেকে পড়তে এসেছেন। একাধিক পড়ুয়ার বক্তব্য, করোনাভাইরাস রুখতে রাজ্যের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ডাক্তারি স্তরে ছুটি ঘোষণা করেননি। উল্টে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছে। তাই কোনও নির্দেশিকার জন্য অপেক্ষা না করেই গত তিন দিনে ৭০ জনেরও বেশি পড়ুয়া বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। বাকি পড়ুয়ারাও বাড়িতে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এর মধ্যে পরীক্ষা হবে কী করে—বুঝতে পারছেন না পড়ুয়াদের কেউই।