Coronavirus

ভেন্টিলেশনে রয়েছেন সেই মহিলা

রবিবার পর্যন্ত আইডি-তে সন্দেহভাজন ৫ রোগী রয়েছেন। তাঁদের একাংশের সোয়াব রিপোর্ট শীঘ্রই আসার কথা।হাসপাতাল সূত্রে দাবি, বৃহস্পতিবার থেকেই তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। সেই মতো তাঁকে রিকুতে স্থানান্তর করা হয়। তার সোয়াবের নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয়েছিল।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০৬:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (রিকু) ভর্তি করোনা আক্রান্ত মহিলার শারীরিক পরিস্থিতি ভাল নয়— জানানো হয়েছে হাসপাতালের একটি সূত্র থেকেই। সেই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই মহিলাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে দাবি, বৃহস্পতিবার থেকেই তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। সেই মতো তাঁকে রিকুতে স্থানান্তর করা হয়। তার সোয়াবের নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয়েছিল। শনিবার সেই রিপোর্টে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকেরা। স্বাস্থ্য দফতর থেকেও শনিবার রাতে এবং রবিবার তাঁর খোঁজ নেওয়া হয়েছে। শনিবার রাত থেকেই ‘রিকু’র মধ্যে আলাদা করে ওই মহিলাকে রাখা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।

ওই মহিলার পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, কালিম্পঙের বাসিন্দা ওই মহিলা চেন্নাই থেকে ফেরার পর জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন। সে জন্য কালিম্পং এবং শিলিগুড়িতে তিনি ডাক্তার দেখান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষাও করান। শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছিল। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় পরিবারের লোকেরাও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। চিকিৎসকরাই পরিবারকে তথ্য দেবেন।

Advertisement

রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে আরও দু’জন পুরুষ ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের শ্বাসকষ্ট থাকলেও পরিস্থিতি অতটা জটিল নয় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল। মাঝেমধ্যে অক্সিজেন দিতে হলেও এখনও ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন হয়নি তাঁদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, মহিলার পরিস্থিতি জটিল। তবে বাকিদের অবস্থায় অতটা খারাপ নয়।

উত্তরবঙ্গে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়তেই চিকিৎসকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তার একটা বড় কারণ, এন-৯৫ মাস্ক এবং পার্সোনাল প্রোটেকটেড ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পোশাকের অভাব। স্বাস্থ্য দফতর থেকে হাফহাতা রেনকোট পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তা যে পিপিই-এর বিকল্প হতে পারে না, সে কথাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরাই। হাসপাতাল সূত্রে দাবি, রেনকোট পরে চিকিৎসকরা যেতে চাইছেন না করোনা আক্রান্ত বা করোনা সন্দেহে ভর্তি রোগীদের কাছে। অথচ পিপিই পোশাক হাতে গোনা কয়েকটি ছিল।

এই পরিস্থিতি দার্জিলিং জেলা উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২-এর দফতর থেকে ১০০টি পিপিই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। মাস্ক, পিপিই-র অভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁদের অনেক সময়ই কোভিড-১৯ স্ক্রিনিং সেন্টারে মাস্ক, পিপিই ছাড়াই রোগী দেখতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সাহরিয়ার আলমদের মতো জুনিয়র চিকিৎকরা। পরিকাঠামোগত এই ত্রুটির কথা মেনেও নিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রবিবার পর্যন্ত আইসোলেশন ওয়ার্ডে সন্দেহভাজন ৫ জন রোগী রয়েছেন। তাঁদের একাংশের সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট শীঘ্রই আসার কথা। তা দেখে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন