ফাইল চিত্র
গৌড় এক্সপ্রেস কি চলবে? পদাতিক এক্সপ্রেস কি থাকবে? শনিবার সকাল থেকে ফোনে এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে মালদহ টাউন স্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্রের কর্মীদের। রেলের এক কর্মী বলেন, “ট্রেনের গতিবিধি জানতে চেয়ে বহু ফোন আসছে অনুসন্ধান কেন্দ্রে। যাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।”
আজ, রবিবার ১৪ ঘণ্টা দেশবাসীকে জনতা কার্ফু পালনের বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার জেরে এ দিন একাধিক ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। ফলে কোন ট্রেন চলবে, আর কোনটা চলবে না— তা নিয়ে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, রেলের তরফে বলা হচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। তবে কোন কোন ট্রেন বাতিল, তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। তাতেই তৈরি হয়েছে সমস্যা।
করোনা আতঙ্কে যাত্রী কমেছে রেলের। প্রভাব পড়েছে মালদহ ডিভিশনেও। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ ডিভিশনের অধীনে মোট ১০২টি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে একাধিক স্টেশন বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে রয়েছে। মালদহ ডিভিশনে মোট ১১০টি প্যাসেঞ্জার এবং ৮৪টি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। দৈনিক উপার্জন হয় গড়ে এক থেকে দেড় কোটি টাকা। তবে করোনা আতঙ্কে টিকিট বাতিলের হিড়িক পড়েছে স্টেশনগুলিতে। ফলে দৈনিক গড়ে ৩০ লক্ষ টাকা আয় কমেছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। করোনা আতঙ্কের পাশাপাশি জনতা কার্ফু নিয়েও বিভ্রান্তিতে রয়েছে যাত্রীদের একাংশ।
করোনা সামলাতে রবিবার দেশবাসীকে জনতা কার্ফু পালনের আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, রবিবার সকাল সাতটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে এদিন রাত ১২টা থেকে রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল রাশ টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। দূরপাল্লার ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে মালদহের ট্রেনগুলি নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছেন যাত্রীদের একাংশ। মালদহের হবিবপুরের বাসিন্দা সুধীর সাহা বলেন, “ব্যবসার কাজে কলকাতায় রয়েছি। এ দিন রাতে গৌড় এক্সপ্রেসে করে কলকাতা থেকে মালদহে ফিরব। মালদহ স্টেশনে নেমে বাড়ি পৌঁছনোর গাড়ি মিলবে কি না, বুঝতে পারছি না।” উদ্বেগে রয়েছেন ইংরেজবাজারের বাসিন্দা দীনেশ সরকার। তিনি বলেন, “এদিন পদাতিকে করে শিয়ালদহে যাব। রাত ১২টার পর ট্রেন নাকি চলবে না বলা হচ্ছে। এমন অবস্থায় কী হবে, কিছুই বুঝতে পারছি না।” যদিও সময়ের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।