North Bengal Medical College and Hospital

রিকু-তে মৃত্যু এক যুবকের

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাওয়াখালির সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (সারি) কেন্দ্রে এ দিন সন্দেহভাজন ১০ জন ভর্তি রয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২০ ০৭:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল সূত্রে জানানো হয়েছে, সেখানে মঙ্গলবার এক তরুণ মারা গিয়েছেন। ওই সূত্র জানিয়েছে, ২০ বছরের ওই যুবকের বাড়ি চাকুলিয়ায়। তাঁকে ১১ এপ্রিল হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করানো হয়। তবে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় সোমবার তাকে রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (রিকু) স্থানান্তর করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান। তাঁর সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে রবিবার রাতে রিকুতে যিনি মারা গিয়েছিলেন তার নমুনা পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল। সোমবার রাতে এই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাওয়াখালির সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (সারি) কেন্দ্রে এ দিন সন্দেহভাজন ১০ জন ভর্তি রয়েছেন। মেডিক্যালের আইসোলেশনে সন্দেহভাজন দুই শিশু রয়েছে। তাদের সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে দুই নার্স ও তাঁদেরই এক জনের পরিবারের দুই সদস্য অনেকটা ভাল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আজ, বুধবার থেকে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা শুরু হবে। ওই ওয়ার্ড ‘কনটেনড’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘ওই ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিন স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ হয়েছে। তারা বাড়ি বাড়ি করোনার সমীক্ষা করবেন।’’

Advertisement

তবে এত দেরিতে হুঁশ ফিরল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ওই ওয়ার্ডের নিউ কলোনিতে রেল কোয়ার্টারের বাসিন্দা এক রেলকর্মী সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের রিকু-তে মারা যান। তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। তাঁর সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্য এবং অন্যদের কোয়রান্টিনে বা হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়। একাধিক জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল লাগোয়া আবাসন এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কনটেনড বলে চিহ্নিত করে সোমবার থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।

এ দিন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ শঙ্কর ঘোষ। সেখানে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডলও ছিলেন।

এরই মধ্যে রায়গঞ্জ থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে শিলিগুড়ির তিলক রোডের একটি গেস্ট হাউজে এক রোগীকে আনা হয় এ দিন বেলা ১০টা নাগাদ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সে রোগীর সঙ্গে এক ব্যক্তিও ছিলেন। এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখালে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তার পরে জামিন করিয়ে সারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গেস্ট হাউজটিও জীবাণুমুক্ত করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন