যাতায়াত: পতিরামজোত এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
অসমে ছেলে ও স্ত্রীকে আনতে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেখানে তিনজনেরই লালারস পরীক্ষা হয়েছিল। পরে যখন মাটিগাড়ার পতিরামজোতে ফিরে আসে ওই পরিবার, তখন অসম থেকে জেলায় রিপোর্ট আসে যে ওই ব্যক্তির করোনা পজ়িটিভ রয়েছে। পরে ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও সাত বছরের ছেলের শরীরেও সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানানো হয় স্বাস্থ্য দফতরকে। তখনই তিনজনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই ব্যক্তিকে মাটিগাড়া কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও শুক্রবার মেডিক্যালের তরফে করা লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। নতুন করে আর একবার পরীক্ষা করা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘লালারস পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ১৩ জনকে কোয়রান্টিন করা হয়েছে। মাটিগাড়ার পতিরামজোতে তাঁদের বাড়ি শান্তিমোড় এলাকায় এ দিন থেকেই বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে। এ দিন দমকলের তরফে আক্রান্তের বাড়ি জীবাণুমুক্ত করা হয়। কী ভাবে ওই ব্যক্তি সংক্রমিত হলেন তা নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে তথ্য তাঁরা পেয়েছেন তাতে ১৬ মে মাটিগাড়া থেকে অসমে যান ওই ব্যক্তি। সেখানে জোড়হাটে আত্মীয়ের বাড়িতে থাকা স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে ১৮মে শিলিগুড়ি ফেরেন। অসমে ওই ব্যক্তির লালারস পরীক্ষা রিপোর্ট পজ়িটিভ মেলে। চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন অসম থেকে সংক্রমণ তাঁর শরীরে ছড়ালে ওই অল্প সময়ের মধ্যে তা প্রকাশ পাওয়ার কথা নয়। মাটিগাড়া থেকেই তিনি সংক্রমণ নিয়ে গিয়েছিলেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। সে ক্ষেত্রে কোথা থেকে তাঁর সংক্রমণ ঘটেছে সেই নিয়ে আশঙ্কা বেড়েছে।
এলাকায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হলেও তা অনেকেই মানতে চাইছে না-বলে অভিযোগ। এলাকার প্রধান প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস বলেন, ‘‘ব্যারিকেড দেওয়ার সময় অনেকে বাধা দিচ্ছিলেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের হঠিয়েছে।’’