COVID-19

পর্যটন কর্মীদের জন্য দ্রুত টিকা, মন্ত্রীকে আর্জি

বিধি নিষেধ কার্যকরী হতেই পর্যটন শিল্প পুরোপুরি বন্ধ।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২১ ০৬:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের হোটেল, রেস্তরাঁ থেকে শুরু হোম-স্টে, রিসর্ট— পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সমস্ত কর্মীকে অগ্রাধিকার দিয়ে টিকাকরণের দাবি জানানো হল সরকারকে। রবিবার রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এবং দফতরের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দিল পর্যটন, পরিবহণ, হোটল শিল্পের যৌথ মঞ্চ হিমালয়ান হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক।

Advertisement

সংগঠনের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পরিবহণ কর্মী, হকারদের মতো অনলাইন খাবার সরবরাহ, হোটেল, রিসর্টে সেফ হোম খোলায় বহু পর্যটনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত তরুণ-তরুণীরা কাজ করছেন। অনেক অতিথি নিবাসে স্বাস্থ্যকর্মীদের রাখা হচ্ছে। সেখানেও এই সময়ে অনেকে কাজ করছেন। তাঁরা বাকিদের মতো বিভিন্ন এলাকায় কোভিড মোকাবিলায় কাজ কারছেন। তাই আলাদা ভাবে এঁদেরই টিকার প্রয়োজন। সেখানে পর্যটন শিল্পকে বেছে নিয়ে ধাপে ধাপে কর্মীদের টিকাকরণের জন্য তালিকাভুক্ত করার কাজ করা যেতে পারে। এর সঙ্গে সরকারের প্রয়োজনে করোনা লড়াইয়ে স্বেচ্ছাসেবক হতে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা রাজি বলেও জানানো হয়েছে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘পর্যটন শিল্প গত বছর থেকে করোনায় ধুঁকতে ধুঁকতে একেবারে বিপর্যয়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। তাও আমরা আশাবাদী। আগামী করোনা পরবর্তী ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে টিকা, প্রতিষেধক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।’’

Advertisement

সংগঠনের বক্তব্য, দার্জিলিং, কালিম্পং জেলার পাহাড় থেকে তরাই, ডুয়ার্সের হোটেল, রিসর্ট, হোম-স্টে, লজ মিলিয়ে লক্ষাধিক ছেলেমেয়ে কাজ করেন। এর বাইরে গাইড, গাড়ির চালক, কুলি মিলিয়ে বহু মানুষ আছেন। এখন পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ হলেও অনলাইন খাবার, সেফ হোম, আইসোলেশন সেন্টার বা স্বাস্থ্য কর্মীদের রাখার কাজে বহু হোটেল কর্মীরা কাজ করছেন। তাঁদের দ্রুত টিকাকরণ দরকার। এটা হলে ভবিষ্যতে সব স্বাভাবিক হলে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের মনোবল চাঙ্গা থাকবে। আবার পর্যটকদের ভবিষ্যতে বিভিন্ন কেন্দ্র, সেন্টার, হোটেল বা হোম-স্টে এসে টিকাকরণ করা কর্মীদের সম্পর্কে জানানো হলে তাঁরাও আশ্বস্ত হবেন।

গত বছর মার্চ মাসে গরমের মরসুমে করোনা সংক্রমণ শুরু হতেই লোকসানের মুখে পড়ে পর্যটন শিল্প। এ বার মে মাসে ভোট মিটতেই কড়াকড়ি, বিধি নিষেধ কার্যকরী হতেই পর্যটন শিল্প পুরোপুরি বন্ধ। তাই সরকারকে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতেরা জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় তাঁরা স্বেচ্ছাসেবক হতে চান। তেমনিই, করোনা মিটলেই সরকার যাতে তাঁদের পাশে থাকে, সে কথাও মন্ত্রী ও সচিবকে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement