Coronavirus

ফাঁকা মাঠে সরবে বাজার

ঘিঞ্জি বাজার বলেই পরিচিত ফুলেশ্বরী, হায়দারপাড়া এবং মহাবীরস্থান উড়ালপুলের নীচের বাজার। পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ফুলেশ্বরী বাজার সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। যদিও এখনও তা হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০৫:২৬
Share:

নিয়ম ভেঙে: রবিবার উপচে পড়া ভিড় শিলিগুড়ি টিকিয়াপাড়া বাজারে। বিধি-নিষেধ না মেনে চলছে কেনা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

শহরের ব্যস্ততম আনাজ বাজারগুলিকে ফাঁকা জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে শিলিগুড়িতে। দোকানে-দোকানে গণ্ডি টানা হচ্ছে। রথখোলা মাঠে সরানো হয়েছে সুভাষপল্লি-রবীন্দ্রনগর বাজার। আঠারোখাই বাজার সরানো হয়েছে পাশের স্কুলমাঠে। কিন্তু এখনও মহাবীরস্থান, হায়দারপাড়া এবং ফুলেশ্বরী এই তিনটি বাজারে নিয়মিত ভাবে ক্রেতাদের ভিড় হচ্ছে। সেগুলি সরানোর প্রস্তাব রয়েছে। শহরে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী পাওয়ার পর দ্রুত সেই কাজ করার দাবি উঠেছে।

Advertisement

ঘিঞ্জি বাজার বলেই পরিচিত ফুলেশ্বরী, হায়দারপাড়া এবং মহাবীরস্থান উড়ালপুলের নীচের বাজার। পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ফুলেশ্বরী বাজার সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। যদিও এখনও তা হয়নি। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) শঙ্কর ঘোষ বলেন, "ফুলেশ্বরী বাজার ডাবগ্রাম এবং তরুণতীর্থ ক্লাবের মাঠে কিছুটা, ক্ষণিক সঙ্ঘের মাঠে কিছুটা সরিয়ে ফেলার কথা রয়েছে।" তবে রবিবারও তা সরেনি। স্থানীয় সূত্রের খবর, বাজার আবাসিক এলাকার মাঠের নিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে অনেকে রয়েছেন। যদিও এখন বৃহত্তর স্বার্থের দিকে তাকিয়ে তা করার দাবি জোরালো হচ্ছে এলাকায়।

মহাবীরস্থান রেলগেটের আশপাশে উড়ালপুলের নীচে রোজ আনাজ বাজারে হাজির হচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। রেলগেট থেকে শুরু করে টিকিয়াপাড়া পর্যন্ত ফ্লাইওভারের উড়ালপুলের নীচেও জমছে ভিড়। এর জেরে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে, যদিও এই বাজার সরানোর ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত পুরসভা নিতে পারেনি। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, "রথখোলা মাঠে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনগর-সুভাষপলি আনাজ বাজার। শহরের অন্য বাজারগুলি কীভাবে সরানো যায়, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।"

Advertisement

ওদিকে জনপ্রিয় বাজার হায়দারপাড়ায়ও জনসমাগম হচ্ছে। বাজারগুলিতে বেশিরভাগ সময়ই স্বাস্থ্যবিধি বজায় থাকছে না। বিক্রেতারা গ্লাভস পরে জিনিসপত্র বিক্রি করছেন না বলে অভিযোগ। পুরসভা সূত্রের দাবি, শহরের এই বাজারগুলিকে একটু খোলা জায়গায় সরানোর ব্যাপারে তাঁরাও পরিকল্পনা শুরু করেছেন। তা যত দ্রুত সম্ভব করে ফেলা উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা।

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন