Malda

বিহার থেকে দেহ ভেসে আসার আশঙ্কা, নবান্নের নির্দেশে নজরদারি মালদহের গঙ্গায়

মূলত মানিকচক, কালিয়াচক-২, কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লক আধিকারিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২১ ২১:২৮
Share:

গঙ্গায় নজরদারি পুলিশের। নিজস্ব চিত্র।

পড়শি রাজ্য বিহারে গঙ্গা থেকে শতাধিক দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শঙ্কা ছড়িয়েছে মালদহে। এই পরিস্থিতেতে নবান্নের নির্দেশে বিহার এবং ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া গঙ্গায় ভেসে আসা দেহের সন্ধানে নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন।

Advertisement

পুলিশের অনুমান, করোনা পরিস্থিতিতে দেহগুলি সৎকার না করতে পেরে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এ বার সেই আতঙ্ক তাড়া করছে সীমাবর্তী মালদহ-মুর্শিদাবাদকেও। উত্তরপ্রদেশ,বিহার ও ঝাড়খন্ড থেকে গঙ্গা দিয়ে দেহগুলি ভেসে আসছে, তা মালদহে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন। তাই অপ্রীতিকর কিছু ঘটার আগেই মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্ন থেকে। পাশাপাশি কোনও মৃতদেহ পাওয়া গেলে সম্মানের সঙ্গে সৎকারের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন থেকে।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মালদহের জেলাশাসক গঙ্গা নদীর তীরবর্তী ব্লকের আধিকারিকদের নজরদারির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। মূলত মানিকচক, কালিয়াচক-২, কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লক আধিকারিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ মেনে ওই এলাকার নদী তীরবর্তী স্থানগুলিতে ১০-১২টি নৌকার মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা করেছে ব্লক প্রশাসন এবং পুলিশ।

Advertisement

নদীতে যাঁরা মাছ ধরতে যান কিংবা নৌকায় যাত্রী পরিবহণ পরিষেবায় যুক্ত, তাঁদের কেউ জানানো হয়েছে গঙ্গায় যদি কোন মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়, তৎক্ষণাৎ যেন সংলিষ্ট থানা বা ব্লক অফিসে খবর দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে জেলা প্রশাসন সতর্ক, বাংলার জনমানসে যেন বিহার-উত্তরপ্রদেশের ঘটনার জেরে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া না ঘটে। প্রসঙ্গত, বিহারের কাটিহার, বক্সার এবং উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর ও কানপুরের গঙ্গায় গত কয়েক দিনে বহু পচাগলা, আধপোড়া দেহের সন্ধান মিলেছে। করোনায় মৃতদের দেহ যথাযথ ভাবে সৎকার না করে গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট দু’টি রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন