জিসিপিএ

বড়গিলায় কড়া নজরেই শুরু অনুষ্ঠান

চারদিক ঘিরে রয়েছে ‘নারায়ণী সেনা’। মঞ্চে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঞ্চের সামনে থাকা সামিয়ানা টাঙানো জমিতে কয়েক হাজার মানুষ। আসরে সর্তক পাহারায় পুলিশও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫০
Share:

চারদিক ঘিরে রয়েছে ‘নারায়ণী সেনা’। মঞ্চে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঞ্চের সামনে থাকা সামিয়ানা টাঙানো জমিতে কয়েক হাজার মানুষ। আসরে সর্তক পাহারায় পুলিশও। গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনেই অনুষ্ঠান স্থলের পাশে কোনও রান্নার ব্যবস্থা করা হয়নি। বাইরের থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের এ বারে পাত পেড়ে খাওয়ানোর বদলে প্যাকেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুক্রবার কোচবিহারের বড়গিলায় এভাবেই শুরু হল বীর চিলা রায়ের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান।

Advertisement

গ্রেটারের এই অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক ছিলই। মাস কয়েক আগেই ‘নারায়ণী সেনা’ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। রাজ্য প্রশাসনের তরফে ওই সংগঠনের কাজকর্ম নিয়েও নানা অভিযোগ তোলা হয়। মাস কয়েক আগেই ভারত-ভুক্তি চুক্তি দিবস পালনের অনুমতি পায়নি গ্রেটার। সে সময় চকচকায় শিল্পনিগমের জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছিল গ্রেটারের বিরুদ্ধে। এবারে সেই জমি বাদ দিয়ে বরগিলায় অনন্ত মহারাজের বাড়ির ঠিক পাশেই কৃষিখেতে অনুষ্ঠানের অনুমতি চাওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠান নিয়েও আপত্তি তুলে অনুমতি দেয়নি জেলা প্রশাসন। এর পরেই রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যায় গ্রেটার। বৃহস্পতিবার শর্তসাপেক্ষ ডিভিশন বেঞ্চের রায় মিলতেই মাঠে নেমে পড়ে গ্রেটার। সংগঠনের সুপ্রিমো অনন্ত রায় (মহারাজ) বলেন, “আদালতের রায় মেনেই দু’দিন অনুষ্ঠান হবে।”

গ্রেটার নেতৃত্ব জানিয়েছেন, কোচবিহার তো বটেই আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দুই দিনাজপুর এবং অসমের গোয়ালপাড়া থেকে প্রচুর কর্মী-সমর্থক যোগ দেন অনুষ্ঠানে। এ বারেও দলে দলে মানুষ ভিড় করছেন। তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় সংগঠনের তরফেই। তবে আদালতের নির্দেশে অনুষ্ঠানস্থলের কাছে রান্নায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় অন্যত্র রান্না করে খাবার প্যাকেট করে সবার হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে আয়োজকেরা জানিয়েছেন। গ্রেটারের এক নেতা বলেন, “অনুষ্ঠান রাতভর হবে। সেখানে কর্মীরা থাকতে পারবেন বলে আদালত রায় দিয়েছে।” অনুষ্ঠান ঘিরে অবশ্য বসেছে অসংখ্য হোটেল। সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে চুল্লি। কোচবিহারের জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “নির্দেশ মেনে অনুষ্ঠানের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। কোথাও আদালতের শর্ত না মানা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

গ্রেটার নেতৃত্ব জানান, দুদিনের ওই অনুষ্ঠানে আজ, শনিবার দুপুরে প্রকাশ্য সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিজেপির কয়েকজন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জনসভায় মহারাজ হাজির থেকে কর্মীদের বার্তা দেবেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “কোথাও যাতে কোনও উত্তেজনা তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন