পঞ্চমীর রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটল মালদহের কালিয়াচকে। বাধা দেওয়ায় গৃহকর্তাকে গুলি করে নগদ টাকা সহ সোনার অলঙ্কার নিয়ে পালায় একদল দুষ্কৃতী বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার জালালপুরের কালীতলা গ্রামে। ঘটনায় আহত ওই ব্যক্তি ভর্তি রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, আহতের নাম ফণিভূষণ প্রমাণিক। তাঁদের একটি পার্লার রয়েছে।
পুজোর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত পার্লার মালিকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে ব্যবসায়ী মহলে। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাসের সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘‘পুজোর মধ্যে ডাকাতির ঘটনায় খুবই দুঃখজনক। দ্রুত দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার না হলে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আমরা পথে নামব।’’ মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশিও চালানো হচ্ছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচক থানার জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীতলা গ্রামের বাসিন্দা ফণিভূষণবাবু। জালালপুর স্ট্যান্ডে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে তাঁর একটি বড় পার্লার রয়েছে। তাঁর দুই ছেলে ষষ্ঠী ও বিকাশ প্রমাণিক পার্লারটি চালান। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাত দেড়টা নাগাদ বাড়ির পেছনের প্রাচীর টপকে জনা দশেক দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢোকে। তার পরে বিকাশ ও ষষ্ঠীর ঘরে ঢুকে আলমারির লকার ভাঙে দুষ্কৃতীরা। পরিবারের দাবি, ষষ্ঠীবাবুর ঘর থেকে সাত ভরি ও বিকাশবাবুর ঘর থেকে চার ভরি সোনার অলঙ্কার এবং নগদ হাজার পাঁচেক টাকা, একটি টিভি এবং তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা বাড়ির মহিলা ও পুরুষদের আগ্নেয়াস্ত্রের বাট দিয়ে মারধর করে। সেই সময় ফণিভূষণবাবু বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা দু’টি গুলি চালায় বলে অভিযোগ।