পুলিশ চুপ কেন, প্রশ্ন সব মহলে

দাড়িভিট কাণ্ডে গুলিবিদ্ধ ইসলামপুর থানার পুলিশকর্মী পরিমল অধিকারীকে নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে। ২০ সেপ্টেম্বর গন্ডগোলের দিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন পরিমল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪০
Share:

—ফাইল চিত্র।

দাড়িভিট কাণ্ডে গুলিবিদ্ধ ইসলামপুর থানার পুলিশকর্মী পরিমল অধিকারীকে নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে। ২০ সেপ্টেম্বর গন্ডগোলের দিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন পরিমল। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে। গুলিবিদ্ধ তিন ছাত্রের তথ্য সামনে এলেও পরিমলের কথা সে ভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। কেন পরিমলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ্যে আনলেন না পুলিশকর্তারা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নিচুতলার পুলিশমহলে।

Advertisement

ঘটনার পরে উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার দাবি করেছেন, পুলিশ গুলি চালায়নি। কয়েক দিন আগে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে বহিরাগতরা উপস্থিত ছিল। উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘যেখানে পুলিশ গায়ে ঢিল পড়লে তা ফলাও করে প্রচার করে এবং ধরপাকড় করে, সেখানে কেন তারা পুলিশকর্মীর গুলি লাগার তথ্য চেপে যাচ্ছে? কেন সরকারি হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হল আহত পুলিশকর্মীকে? সব প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর দেওয়া পুলিশের কর্তব্য।’’

দাড়িভিটের অনেক মানুষ প্রশ্ন তুলে বলেছেন, যদি বহিরাগতরাই দাড়িভিটে গুলি চালিয়ে থাকে, তা হলে তাদের কর্মীর গুলি লাগাটা পুলিশের কাছে বড় হাতিয়ার হতে পারত। কেন পুলিশ সেই সুযোগ কাজে লাগাল না? এই নিয়ে সুমিত কুমারকে ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। এসএমএসের উত্তর দেননি। রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি আনন্দ কুমার বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। যা বলার তা যথাস্থানে বলা হবে।’’

Advertisement

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, পরিমলবাবুর স্বাস্থ্যবিমা ছিল। তাই পরিবারের পরামর্শ মতোই ওঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও পুলিশের অন্য একটি অংশের দাবি, ঘটনার সময় পরিমলবাবুর পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তাই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হলেও পুলিশ কর্তারাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ওঁকে নার্সিংহোমে পাঠিয়েছেন।

পুলিশের গুলি লাগার বিষয়টিকে সাজানো বলে দাবি করেছেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে পা দিয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে ফেঁসে যাবে। তাই নতুন করে গল্প ফাঁদছে।’’ তৃণমূলের ইসলামপুর শহর কমিটির সভাপতি গঙ্গেশ দে সরকার বলেন, ‘‘পুলিশের গুলি লেগেছে— তেমন তথ্য আমার জানা নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement