কিরণ বিপন্মুক্ত, কমলো উদ্বেগ

ঘণ্টা দুয়েক আগে দার্জিলিং থেকে খবর পৌঁছয় ওই হাসপাতালের অধিকর্তা সুশান্ত রায়ের কাছে। সিংমারি থানায় হামলার সময়ে গাড়ি পোড়ানোয় বাধা দিতে গিয়ে খুকরির আঘাতে মারাত্মক জখম হয়েছেন রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর অ্যাসিস্টান্ট কমান্ডান্ট কিরণ তামাঙ্গ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৭ ০২:১৩
Share:

চিকিৎসা: শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে কিরণ। নিজস্ব চিত্র

একদম যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্ত্রোপচার করে কিছুটা হলেও দার্জিলিং পুলিশের উদ্বেগ কমান শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শনিবার বিকেলের ঘটনা।

Advertisement

ঘণ্টা দুয়েক আগে দার্জিলিং থেকে খবর পৌঁছয় ওই হাসপাতালের অধিকর্তা সুশান্ত রায়ের কাছে। সিংমারি থানায় হামলার সময়ে গাড়ি পোড়ানোয় বাধা দিতে গিয়ে খুকরির আঘাতে মারাত্মক জখম হয়েছেন রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর অ্যাসিস্টান্ট কমান্ডান্ট কিরণ তামাঙ্গ। টেলিফোনে আঘাতের বিবরণ শুনে কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গেই অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুতি নেন। বিশেষজ্ঞ রঞ্জন পালচৌধুরীর কাছেও খবর যায়। হাসপাতাল সবত্রের খবর, সঙ্গে সঙ্গে রঞ্জনবাবু হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে আরেক শল্য চিকিৎসক শৈলজা গুপ্তও পৌঁছে যান।

আরও পড়ুন: শান্তি ফেরাতে বৈঠক চাইছে সব দল

Advertisement

বিকেলে কিরণবাবু পৌঁচতেই চিকিৎসকেরা প্রাণতিক পরীক্ষার পরে জানিয়ে দেন, মাথায় ও পিঠে আঘাতের পরে পাহাড় তেকে সমতলে আসার সময়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাতে আরও দুর্বল হয়ে পড়েছেন কিরণবাবু। সিটি স্ক্যান করানোর পরে দেখা যায় পিঠের খুকরির আঘাতে ফুসফুসের কিছুটা অংশ জখম হয়েছে। দ্রুত রক্তের বন্দোবস্ত করেন কর্তৃপক্ষ। অস্ত্রোপচরার কক্ষে নিয়ে য়াওয়া হয়। ঘণ্টাখানেকের মাথায় অস্ত্রোপচার সেষ হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, আপাতত কিরণবাবু বিপন্মুক্ত। তাতেই কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন উদ্বিগ্নরা। ইতিমধ্যে খবর পৌঁছয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের কাছেও। তিনি কিরণবাবুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। সেই সঙ্গে চিকিৎসার জন্য রাজ্যের তরফে সবরকম সহয়োগিতা করার আশ্বাসও দেন তাঁর পরিবারকে।

অপরদিকে, বিষাদের ছায়া নামে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কারণ, সেখানে পাহাড়ে গোলমালের সময়ে মৃত মোর্চা সমর্থক মণীশ গুরুঙ্গের(২৫) দেহ আনা হয়। বিজনবাড়ির বাসিন্দা মণীশের বুকে পুলিশের গুলি লেগেছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। এ দিন সকালে দার্জিলিঙের সেন্ট জেসোফ স্কুলের সামনে পুলিশের চালানো গুলি মণীশের গায়ে লাগে বলে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে। গুলি লাগার পরে প্রথমে মণীশকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রেফার করার পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়েছিল। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচারের কোনও সুযোগও মেলেনি। রাস্তাতেই যুবকের মৃত্যু হয়। আজ, রবিবার ময়নাতদন্ত করা হবে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার মৈত্রেয়ী কর জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ বোঝা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন