প্রতীকী ছবি।
মাসখানেক ধরে নিখোঁজ থাকার পর অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর পুঁতে রাখা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ওই ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের সন্দেহ দানা বাঁধছে কার্শিয়াঙে।
শনিবার সন্ধেয় পাকদণ্ডি রাস্তার পাশের খাদ থেকে ১৬ বছরের ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কার্শিয়াঙের রিম্বিক খোলা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের একটি নির্জন এলাকায় পাথরের নীচ থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে। হাতের একটি অংশ বেরিয়ে থাকতে দেখে বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। খুন করে দেহ মাটিতে পুঁতে পাথর চাপা দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের সন্দেহ, ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত।
১৬ নভেম্বর বাড়ি থেকে স্কুল যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল ওই ছাত্রী। তার পরে আর বাড়ি ফেরেনি। স্কুল সূত্রের খবর, সে দিন কাজ আছে বলে তাড়াতাড়ি স্কুল থেকে বেরিয়েছিল সে। এ দিন উদ্ধার হওয়া দেহে স্কুল ইনিফর্মের পরিবর্তে অন্য পোশাক ছিল। কার্শিয়াঙের এসডিপিও এল দিব্যা বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে অনেক কিছুই উঠে এসেছে। সব যাচাই করা হচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে রাস্তার পাশ থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটি তার স্কুলে যাতায়াতের পথ ছিল। এলাকাটি নির্জন হলেও, যাতায়াতে কম সময় লাগার কারণে সেই রাস্তা দিয়েই ছাত্রীদের কেউ কেউ স্কুলে যায়। দেহটি এমন ভাবে বিকৃত অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে, পরিবারের সদস্যরাও প্রথমে চিনতে পারেননি। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার দিন নির্ধারিত সময়ের আগেই ওই ছাত্রী স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে বেরিয়ে যায়। বাড়ি ফেরার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সে না ফেরায় পরিবারের তরফে কার্শিয়াঙ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ক’দিন পরে ওই এলাকা থেকেই স্কুল ব্যাগ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
শনিবার বিকেলে খেলার সময়ে এলাকার কিছু কচিকাঁচা রাস্তার পাশের খাদে পাথরের তলা থেকে একটি হাত বেরিয়ে থাকতে দেখে। বাসিন্দারা জড়ো হন। সন্ধেয় পুলিশ পাথর সরিয়ে দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের এক সদস্যের অভিযোগ, ‘‘কেউ ওকে ফুঁসলে নিয়ে ধর্ষণ করে খুন করেছে। পুলিশ দ্রুত কিনারা করুক। না হলে ছাত্রীদের বাইরে চলাফেরাই মুশকিল।’’ পুলিশ জানিয়েছে, কার কার সঙ্গে ছাত্রীর পরিচয় ছিল তা খুঁজছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের মোবাইলের কল রেকর্ডও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।