সেরা: দেবলীনা ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
রাষ্ট্রপুঞ্জের শিরোপা পেয়ে কন্যাশ্রী এখন ‘বিশ্বশ্রী’। আর সেই কন্যাশ্রী নিয়েই চার লাইনের কবিতা লিখে রাজ্যে সেরা হল মালদহের দেবলীনা ঘোষ। কালিয়াচক ২ ব্লকের মোথাবাড়ি হাই স্কুলের নবম শ্রেণির এই ছাত্রীর আগামী ২৫ জুলাই কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার কথা। এমন একটি পুরস্কার পেতে চলায় খুশি দেবলীনা, তাঁর পরিবার ও স্কুলও।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ১৪ অগস্টের পরিবর্তে এ বার কন্যাশ্রী দিবস রাজ্যে পালিত হবে ২৫ জুলাই। তার জন্য কন্যাশ্রী প্রাপকদের মধ্যে চার লাইনের একটি কবিতা লেখা ও পোস্টার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর। জেলা ও রাজ্য স্তরে প্রতিযোগিতা হয়েছে। স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া কন্যাশ্রী প্রাপক ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সের কিশোরীরাই প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়। সেই প্রতিযোগিতায় জেলায় শুধু নয় রাজ্য স্তরেও প্রথম হল মালদহের দেবলীনা।
দেবলীনার বাড়ি মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্ধুপল্লি এলাকায়। প্রাক্তন সেনা কর্মী বাবা শিথিলকুমার ঘোষ ও মা পূর্ণিমা ঘোষের একমাত্র মেয়ে দেবলীনা। দেবলীনা লিখেছিল, “কন্যাশ্রীর ভরসা আছে, ভয় কী রে তোর খুকি/ মেঘের কালো সরিয়ে যখন সূর্য্যি দিল উঁকি/ প্রদীপ হয়ে ওঠ না মেয়ে, জ্ঞান হোক তোর শিখা/ কপালে তোর কন্যাশ্রীর, জ্বলুক জয় টীকা”।
মালদহ জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক অশোককুমার পোদ্দার বলেন, ‘‘জেলাস্তরের প্রতিযোগিতায় দেবলীনা প্রথম হয়েছিল। তাঁর কবিতাটি আমরা রাজ্যস্তরেও পাঠিয়েছিলাম। সে রাজ্যেও প্রথম স্থান অধিকার করেছে।’’
মোথাবাড়ি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অদিতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্কুলের মেয়ে দেবলীনা রাজ্যে সেরা হওয়ায় আমরা খুশি।’’ দেবলীনার কথায়, ‘‘আমি ছোট থেকেই কবিতা লিখি। কিন্তু কন্যাশ্রী নিয়ে লেখা কবিতা যে রাজ্যে প্রথম হবে তা ভাবিনি। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করব।’’