মালপত্র খালাসে গড়িমসি, ক্ষতি রেলের

মালগাড়ি থেকে পণ্য নামানো নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গের কয়েকটি স্টেশনে। রেলের পরিকাঠামো ব্যবহার করে কিছু ব্যবসায়ী লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা আদায় করছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২১
Share:

মালগাড়ি থেকে পণ্য নামানো নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গের কয়েকটি স্টেশনে। রেলের পরিকাঠামো ব্যবহার করে কিছু ব্যবসায়ী লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা আদায় করছে বলে অভিযোগ। এতে রেলের রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে। মার্চের শেষ থেকে দু’দফায় রেলের ভিজিল্যান্স বিভাগের অফিসাররা উত্তরবঙ্গে এসে তদন্ত করেন। মূল অভিযোগ নিউ জলপাইগুড়ি লাগোয়া রাঙাপানি স্টেশনে।

Advertisement

নিয়ম অনুযায়ী বোঝাই মালগাড়ি গন্তব্যে পৌঁছনোর পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকে পণ্য নামিয়ে নিতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য না নামালে মোটা টাকা জরিমানা হয়। পণ্য রাখার জন্য রেলের গুদাম রয়েছে। তার জন্য পৃথক ভাড়াও রয়েছে। যদিও ব্যবসায়ীদের একাংশ গুদাম ভাড়া বাঁচাতে দু’থেকে তিনদিন পণ্য রেখে দিচ্ছে মালগাড়ির রেকেই। নিজেদের সুবিধে মতো ট্রাক এনে সরাসরি মালগাড়ি থেকে পণ্য নামিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে। এতে একদিকে যেমন গুদাম ভাড়ার লক্ষ টাকা বাঁচছে, অন্যদিকে রেক আটকে রাখার জরিমানাও হারাচ্ছে রেল। অভিযোগ, রেলের পরিকাঠামো ব্যবহার করে মুনাফা আদায় করে নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে নিউ জলপাইগুড়ি লাগোয়া রাঙাপানি স্টেশনে। অভিযোগ পৌঁছেছে খোদ রেলমন্ত্রকে। খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে দু’বার ঘুরে গিয়েছে রেলের দুর্নীতিদমন শাখা।

অভিযোগ রাঙাপানিতে মালগাড়ি পৌঁছনোর পরে অধিকাংশ রেক খালি হতে তিন থেকে চার দিন কেটে যায়। পণ্য থেকে গেলেও চোখ বুজে থাকেন রেলের আধিকারিক ও কর্মীদের একাংশ। সম্প্রতি চিনির বস্তা রেখে মালগাড়ির তিনটি রেক কয়েকদিন আটকে রাখা হয়েছিল। অভিযোগ পৌঁছয় উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের সদর দফতরে। সদর দফতরের নির্দেশে ওই ব্যবসায়ী সংস্থাকে ১৭ লক্ষ টাকার জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পরেও জরিমানার টাকা আদায়ে গাফিলতি চলছে বলে অভিযোগ। রেলে পণ্য আনা নেওয়া করা এক ব্যবসায়ী সংস্থার তরফে গত মার্চ মাসে লিখিত ভাবে যাবতীয় অভিযোগ জানানো হয় রেলমন্ত্রকে। তারপরেই শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

তদন্ত চলাকালীন রেল কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। নিউ জলপাইগুড়ির স্টেশন ডিরেক্টর পার্থসারথী শীল জানিয়েছেন, বিস্তারিত খোঁজ নেবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement