মাসান্তে চাপল মাস পয়লার ভয়

বদলে গিয়েছে রুটিন

নোট-বাতিলের ধাক্কায় বদলে গিয়েছে দৈনন্দিনের রুটিন। ঘুম থেকে উঠেই লাইনে দাঁড়ানোর তাগিদ। বয়স, পেশা নির্বিশেষে প্রায় সকলেরই একটাই চিন্তা। মাসান্তেই এই অবস্থা, তা হলে মাস পয়লায় কী হবে, সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে। এটিএম থেকে দু’হাজারের বেশি মিলবে না। ব্যাঙ্কেও সর্বোচ্চ কত মিলবে, অজানা। কে কী বলছেন, খোঁজ আনন্দবাজারের। নোট-বাতিলের ধাক্কায় বদলে গিয়েছে দৈনন্দিনের রুটিন। ঘুম থেকে উঠেই লাইনে দাঁড়ানোর তাগিদ। বয়স, পেশা নির্বিশেষে প্রায় সকলেরই একটাই চিন্তা। মাসান্তেই এই অবস্থা, তা হলে মাস পয়লায় কী হবে, সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে। এটিএম থেকে দু’হাজারের বেশি মিলবে না। ব্যাঙ্কেও সর্বোচ্চ কত মিলবে, অজানা। কে কী বলছেন, খোঁজ আনন্দবাজারের।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:১০
Share:

মূলত কৃষিকাজ করি। ছোটখাটো ব্যবসাও রয়েছে। কিন্তু পাঁচশ ও এক হাজারের নোট বাতিলের পর থেকে সব কাজ শিকেয় উঠেছে। টানা চার দিন সাতসকালে কোচবিহার শহরে ও দুই দিন অসমের ছাগলিয়া এলাকার এটিএমে লাইনে দাঁড়াই। তাতে সাকুল্যে ছ’দিনে ১২ হাজার টাকা তুলতে পেরেছি। বারাসতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছেলের সমস্যা হবে ভেবে পুরো ছ’টা দিন দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়াতে হয়। ওই টাকা পৌঁছতে বুধবার বারাসতে গিয়েছি। কারণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিলেও ও তুলতে পারবে কি না সে নিয়ে চিন্তা হচ্ছিল। এখন অবশ্য অন্য চিন্তা। কোচবিহার ফিরে সংসার চালাব কী করে। হাতে তো নগদ তেমন কিছু আর নেই। টাকা তোলার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে ভেবে সকাল কাটছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন