মূলত কৃষিকাজ করি। ছোটখাটো ব্যবসাও রয়েছে। কিন্তু পাঁচশ ও এক হাজারের নোট বাতিলের পর থেকে সব কাজ শিকেয় উঠেছে। টানা চার দিন সাতসকালে কোচবিহার শহরে ও দুই দিন অসমের ছাগলিয়া এলাকার এটিএমে লাইনে দাঁড়াই। তাতে সাকুল্যে ছ’দিনে ১২ হাজার টাকা তুলতে পেরেছি। বারাসতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছেলের সমস্যা হবে ভেবে পুরো ছ’টা দিন দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়াতে হয়। ওই টাকা পৌঁছতে বুধবার বারাসতে গিয়েছি। কারণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিলেও ও তুলতে পারবে কি না সে নিয়ে চিন্তা হচ্ছিল। এখন অবশ্য অন্য চিন্তা। কোচবিহার ফিরে সংসার চালাব কী করে। হাতে তো নগদ তেমন কিছু আর নেই। টাকা তোলার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে ভেবে সকাল কাটছে।”