শীল রিপোর্ট চেয়ে পথে

উদয়ন গুহকে বিঁধতে এ বার শীল কমিশন প্রকাশ্যে আনার দাবিতে রাস্তায় নামল বিজেপি। ইতিমধ্যেই বিজেপির জেলা নেতা থেকে শুরু করে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবিতে সরব হয়েছেন। রিপোর্ট প্রকাশের দাবিতে উচ্চ আদালতে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৫
Share:

উদয়ন গুহকে বিঁধতে এ বার শীল কমিশন প্রকাশ্যে আনার দাবিতে রাস্তায় নামল বিজেপি। ইতিমধ্যেই বিজেপির জেলা নেতা থেকে শুরু করে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবিতে সরব হয়েছেন। রিপোর্ট প্রকাশের দাবিতে উচ্চ আদালতে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। উদয়নবাবু অবশ্য বিজেপির ওই আন্দোলনকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “ওই রিপোর্ট বহু আগেই বিধানসভায় প্রকাশিত হয়েছে। আগে সমস্ত কিছু জেনে তবেই রাজনীতি করা উচিত।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়নি। উদয়নবাবু আগেই শাসক দলে ছিলেন। এখনও শাসক দলে আছেন। অথচ এত বড় একটি বিষয়ের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল না।”

Advertisement

দলীয় সূত্রের খবর, ২০০৮ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের আইন অমান্য আন্দোলনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দিনহাটা। মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে পুলিশের গুলিতে পাঁচ জন ফরওয়ার্ড ব্লক কর্মীর মৃত্যু হয়। তা নিয়ে গোটা রাজ্য উত্তাল হয়ে ওঠে। সেই সময়ের বাম সরকার বিচারপতি নারায়ণচন্দ্র শীলের নেতৃত্বে এক সদস্যের কমিশন তৈরি করে ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা নিয়েই ব্যাপক আপত্তি ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের।

ফব-র দাবি ছিল, ওই রিপোর্ট সঠিক নয়। নতুন করে কমিশন গঠনের দাবি তুলেছিল তারা। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়নি বলে বিজেপির অভিযোগ। পরে উদয়নবাবু তৃণমূলে যোগ দিলে রিপোর্টের বিষয়টি ঢাকা পড়ে যায়। নিখিলবাবু বলেন, “পাঁচজন তরতাজা যুবকের কেন মৃত্যু হল? তার জন্য দায়ী কারা? ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই সব জানতে পারবে।”

Advertisement

বিজেপি মনে করছে, শীল কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে উদয়নবাবুকে আক্রমণ করলে তিনি বিপাকে পড়ে যাবেন। কারণ, ওই দিন দিনহাটায় তাঁর নেতৃত্বেই আইন অমান্য আন্দোলন হয়েছিল। সেখানে উদয়নবিরোধী তৃণমূলের একটি অংশকে যেমন তারা কাছে পাবেন, তেমনই গুলিতে মৃত পাঁচ জনের কথা সামনে এনে অনেকের সহানুভূতিও আদায় করে নিতে পারবেন তাঁরা। তৃণমূলের এক নেতা অবশ্য বলেন, “বিজেপির রাজনীতি সবাই বুঝতে পাচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন