কেন রেড জ়োন, প্রশ্নে মতভেদ দুই জেলাতেই

কমলা থেকে লাল, নাকি সবুজ?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২০ ০৬:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

কমলা থেকে লাল, নাকি সবুজ? যে দুই জেলা থেকে গত এক মাস ধরে কোনও করোনা সংক্রমণের খবর নেই, সেগুলিকে কী ভাবে লাল বা রেড জ়োনে নিয়ে আসা হল কেন্দ্রীয় তালিকায়, সেই প্রশ্ন এ দিনও ঘুরেছে কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলায়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং উত্তরবঙ্গে সফররত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এক সুরে জানিয়েছেন, শুধু সংক্রমণ না হওয়াই নয়, এর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি মাপকাঠিকে সামনে রেখে এই তালিকা তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেই মাপকাঠিগুলি কী ভাবে কালিম্পংয়ের মতো লকডাউনে সফল জেলাকে সবুজ না করে লাল স্তরে নিয়ে গেল, তার কোনও ব্যাখ্যাই দেননি কেউ। ফলে এই নিয়ে রাজনীতির অভিযোগও তুলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।

Advertisement

৩০ এপ্রিল প্রকাশিত রাজ্যের তালিকায় অবশ্য কালিম্পং ও জলপাইগুড়িকে কমলা বা অরেঞ্জ জ়োনেই রাখা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে, কালিম্পং থেকে শেষে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল ২ এপ্রিল এবং জলপাইগুড়ি থেকে ৪ এপ্রিল। অর্থাৎ, এখন হিসেব মতো এই দুই জেলার গ্রিন জ়োন হয়ে যাওয়ার কথা। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও বলেন, ‘‘কালিম্পংয়ের পরিস্থিতি ভাল। তার পরেও কেন রেড জ়োন করা হচ্ছে সেটা পরিষ্কার নয়।’’

অন্য দিকে, আলিপুরদুয়ার নিয়ে পাল্টা অভিযোগ রয়েছে বিরোধীদের। ৩০ এপ্রিল রাতে এই জেলা থেকে চার জনের করোনা সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন আবার কোচবিহারের বাসিন্দা। তা সত্ত্বেও এই দুই জেলা এখনও গ্রিন জ়োনে রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের অবশ্য দাবি, এই চার জনই সম্প্রতি ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরেছেন। তাঁরা সম্প্রতি এমসে এক কিডনি রোগীকে নিয়ে গিয়েছিলেন। ফেরার পরে লালারস পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাঁদের করোনা সংক্রমণ রয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘সব দিক থেকেই দেখা যাচ্ছে, ভিন্ রাজ্যে থেকে লোক আসায় বিপদ বাড়ছে।’’

Advertisement

শনিবার সন্ধে পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলায় কোনও করোনা সংক্রমণ হয়নি বলে জানাল স্বাস্থ্য দফতর। শনিবার রাত পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলা থেকে ৩৬৯ জনের লালারস সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। এখনও ১৫৩ জনের রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। সকলেরই করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন