কোচবিহার, মালদহের পরে এ বার উত্তর দিনাজপুর। জেলা প্রশাসন নামল নার্সিংহোমগুলোর রাশ ধরতে।
দেখা গেল, কোথাও চিকিত্সার খরচের তালিকা প্রকাশ্যে টাঙানো নেই। আবার কোথাও প্রশিক্ষিত নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নেই। যে সদ্যোজাতের ওয়ার্মারে থাকার কথা, সেখানে বিপজ্জনক ভাবে ঝুলছে জ্বলন্ত বৈদ্যুতিক বাল্ব। কোথাও আবার ২০ শয্যার সরকারি অনুমোদন আছে, কিন্তু রয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি। উত্তর দিনাজপুরে নার্সিংহোম পরিদর্শন শুরুর প্রথম দিনেই এমন নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জেলায় স্বাস্থ্য দফতর অনুমোদিত ২৪টি নার্সিংহোম রয়েছে। ১০টি রায়গঞ্জ ও ১৩টি ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে রয়েছে। জেলার নার্সিংহোমগুলো স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম ও নির্দেশ মেনে চলছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য কিছু দিন আগে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধাকে নির্দেশ দেয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেই মতো এ দিন জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (৩) শ্যামলকুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রায়গঞ্জের উকিলপাড়া, দেবীনগর ও পূর্ব কলেজপাড়া এলাকার একাধিক নার্সিংহোম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে প্রতিটি নার্সিংহোমেই একাধিক অনিয়ম ধরা পড়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, এক সপ্তাহের মধ্যে সব নার্সিংহোমের অনিয়ম চিহ্নিত করে কর্তৃপক্ষগুলোকে সতর্ক করা হবে। তার এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়ম ও নির্দেশ মেনে কাজ শুরু না করলে, সেগুলো বন্ধ করা হবে।
উকিলপাড়া এলাকার একটি নার্সিংহোমের অন্যতম কর্ণধার শিবায়ন পালের দাবি, নার্সিংহোমে সারা বছর রোগীদের চাপ থাকে। তাই সব ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশিকা মেনে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ ও পরামর্শ মেনে ভুল শুধরে নেওয়া শুরু করেছে।