‘ডিসি’ দিলে ট্রেনেই মদ

লালচে রঙের ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে রাম-হুইস্কি। সাদা পানীয়ের মধ্যে জিন-ভদকা। মিশিয়ে নিলেই প্রস্তুতি শেষ! চলন্ত ট্রেনের এসি কামরাতেই বসছে নেশার আসর।

Advertisement

কিশোর সাহা

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩৬
Share:

লালচে রঙের ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে রাম-হুইস্কি। সাদা পানীয়ের মধ্যে জিন-ভদকা। মিশিয়ে নিলেই প্রস্তুতি শেষ! চলন্ত ট্রেনের এসি কামরাতেই বসছে নেশার আসর।

Advertisement

কেউ আসনে বসেই খাচ্ছেন। কেউ আবার দুই কামরার সংযোগস্থলে বা কোচ তদারকির দায়িত্বে থাকা রেলকর্মীর আসনে বসে চুমুক দিচ্ছেন। কিন্তু রেলকর্মীরা কী করছেন? অভিযোগ, ‘ডিসি’, অর্থাৎ ড্রিঙ্কিং চার্জ দিলেই নাকি তাঁরা সব বুঝেও মুখ বুজে থাকেন। এনজেপি থেকে শিয়ালদহগামী দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেসে নিয়মিত যাতায়াতকারীদের অভিজ্ঞতাটা এমনই। নানা সময়ে তাঁরা অভিযোগও করেছেন রেল পুলিশের কাছে।

সম্প্রতি দার্জিলিং মেলে এনজেপি ছাড়তেই এসি টুয়ের সাইড লোয়ার বার্থে রকমারি খাবার নিয়ে মদের আসর বসেছিল। কর্তব্যরত রেলকর্মী তা না দেখার ভান করেই যাতায়াত করেছেন। এনজেপির রেল পুলিশের ইন্সপেক্টর স্বপন সরকারকে তা ফোনে জানানো হলে তিনি পুলিশকর্মীদের তল্লাশিতে পাঠান। পুলিশ পৌঁছনোর আগেই হঠাৎ সব ঠাণ্ডা পানীয়ের বোতল চলে যায় শৌচাগারের দিকে। পুলিশ শৌচাগারে তল্লাশি চালিয়ে হুইস্কি ও ভদকার বোতল উদ্ধার করে।

Advertisement

রেলকর্মীদের একাংশের সঙ্গে যোগসাজসেই এটা সম্ভব হয় বলে যাত্রীদের ক্ষোভ। ওই লাইনের নিয়মিত যাত্রী ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘ওই দুই ট্রেনে প্রায়ই দেখি, এসি টু ও থ্রিতে কিছু যাত্রী মদ খান। এটা বন্ধ করানোর জন্য রেলমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছি।’’

একে তো রেলকর্মীদের সঙ্গে মদ্যপদের যোগাযোগ, তার উপরে ট্রেনের কামরায় ঠান্ডা পানীয় নিয়ে ওঠা বা খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই কী ভাবে ওই নেশার আসর বন্ধ করা যাবে তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না রেল ও পুলিশের অনেকেই। কারণ ঠান্ডা পানীয় পরীক্ষা করার চেষ্টা হলে যাত্রীরা আপত্তি করতে পারেন। রেল পুলিশের এক কর্তা তাই জানাচ্ছেন, কী ভাবে কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরা যায় সেই রূপরেখা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement