১০০ পরিবার, নলকূপ একটি

বংশীহারি ব্লকের গাঙ্গুরিয়া পঞ্চায়েতের রাজাপুর গ্রামের ছবিটা এমনই।

Advertisement

নীহার বিশ্বাস

বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০৭:২২
Share:

প্রতীক্ষা: খারাপ নলকূপটির সামনে। বুনিয়াদপুরে। ছবি: অমিত মোহান্ত

গোটা গ্রামে বাস প্রায় ১০০টি পরিবারের। অথচ নেই পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত। অগত্যা মাঠের জমিতে জলসেচ করার মেশিন থেকে খাবারের জন্য জল নিচ্ছেন বাসিন্দারা। প্রতিদিনই নাজেহাল হচ্ছেন বাসিন্দারা। স্বভাবতই ক্ষোভ বাড়ছে বাসিন্দাদের মধ্যে।

Advertisement

বংশীহারি ব্লকের গাঙ্গুরিয়া পঞ্চায়েতের রাজাপুর গ্রামের ছবিটা এমনই। এই গ্রামে বিভিন্ন জনজাতির প্রায় ১০০ টি পরিবারের বসবাস। বছর পাঁচেক আগে এই গ্রামের দুই প্রান্তে দু’টি মার্ক টু টিউবওয়েল বসিয়েছিল স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসন। দুই বছর ধরে তার একটি অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে বলে জানান বাসিন্দারা। গ্রামের পূর্ব দিকের একটি মাত্র মার্ক টু টিউবওয়েল ভাল থাকলেও গোটা গ্রামের বাসিন্দাদের পক্ষে তা যথেষ্ট নয়। কাজেই তীব্র জলকষ্টের মধ্যে পড়েছেন বাসিন্দারা। পানীয় জল পেতে তাই যেতে হচ্ছে গ্রাম সংলগ্ন মাঠে। জমিতে জলসেচ করার মেশিন থেকে খাবার ও গৃহস্থালির জন্য জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও, স্নান করা থেকে দৈনন্দিন কাজের জন্যও এখন বাসিন্দাদের মাঠের মেশিনের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে বলে খবর।

স্থানীয় শ্রীমন্ত প্রামাণিক, পুতুল প্রামাণিক, নিমাই শীল, পঞ্চানন রায়দের বক্তব্য, একটা টিউবওয়েলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। জল পেতে ভরসা মাঠের মেশিন। কিন্তু তা বন্ধ থাকলে আবার বাড়তি সমস্যা। এ ভাবে দূরদূরান্ত থেকে পানীয় জল আনতে গিয়ে প্রত্যেকেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রশাসনের কাছে তাঁদের দাবি, গ্রামে বসানো হোক মার্ক টু টিউবওয়েল।

Advertisement

পানীয় জলের সমস্যার কথা জানেন পঞ্চায়েত সদস্যরাও। কিন্তু অভিযোগ, তারপরও জলকষ্ট মেটাতে কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। যা নিয়েই ক্ষোভ বাসিন্দাদের। প্রতিদিন জলের ড্রাম কাঁধে নিয়ে কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে মাঠ থেকে জল আনাও কষ্টসাধ্য বিষয়। সাধারণ দিনে এ ভাবে জল আনা গেলেও, ঝড়-বৃষ্টির দিনে সমস্যা বাড়ে।

সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ভূপাল ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘‘ওই গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। আমরা আপাতত ট্যাঙ্কারের সাহায্যে পানীয় জল গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। তার পরে কিছুদিনের মধ্যেই গ্রামে মার্ক টু টিউবওয়েল বসানোর ব্যবস্থা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন