পাচারের আগেই কোটি টাকার মাদক-সহ ধৃত

নজরদারি এড়াতে অ্যাটাচিতে কোটি টাকার হাসিস নিয়ে শেয়ারের জিপে উঠেছিল নেপালের বাসিন্দা বছর ৫৫র এক ব্যক্তি। এসএসবি-র জওয়ানরা অ্যাটাচি খুলতে বললে ওই ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধে এসএসবির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০২:৩০
Share:

ধৃত ব্যক্তি। — নিজস্ব চিত্র

নজরদারি এড়াতে অ্যাটাচিতে কোটি টাকার হাসিস নিয়ে শেয়ারের জিপে উঠেছিল নেপালের বাসিন্দা বছর ৫৫র এক ব্যক্তি। এসএসবি-র জওয়ানরা অ্যাটাচি খুলতে বললে ওই ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধে এসএসবির। ওই ব্যক্তিকে ধরে তল্লাশি করতেই তার অ্যাটাচিতে হাসিসের সঙ্গে মেলে কলকাতা থেকে দিল্লি এবং দিল্লি থেকে ব্যাঙ্ককের বিমানের টিকিট। উদ্ধার হয় নেপাল, ভারতের টাকা এবং ডলারও।

Advertisement

গত বুধবার বিকেলে নেপাল সীমান্তবর্তী পানিট্যাঙ্কি থেকে হাসিস পাচারের অভিযোগে তেশ বাহাদুর গুরুঙ্গ নামে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে এসএসবি। নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর কলকাতার আঞ্চলিক দফতরের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পাচারকারীকে ধরা সম্ভব হয়েছে বলে এসএসবি জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতের থেকে প্রায় সাড়ে ৭ কেজি হাসিস উদ্ধার হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে উদ্ধার হওয়া হাসিসের মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা বলে ব্যুরো জানিয়েছে। প্রাথমিক জেরা করে এসএসবি এবং নারকোটিক ব্যুরোর আধিকারিকরা জেনেছেন, ধৃত তেশ বাহাদুর এর আগেও তিনবার হাসিস সহ অন্যান্য মাদক বিদেশে পাচার করেছে। এসএসবির দাবি, কাটমাণ্ডু থেকে বাসে চেপে তেশ বাহাদুর নেপালের কাঁকড়ভিটায় এসে পৌঁছায়। সীমান্ত পেরিয়ে পানিট্যাঙ্কিতে ঢুকে গাড়ি ভাড়া করে শিলিগুড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।

তেশ বাহাদুরের থেকে উদ্ধার হয়েছে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা যাওয়ার একটি বিলাসবহুল বাসের টিকিট। বুধবার সীমান্ত পেরিয়ে রাতে শিলিগুড়িতে থেকে এ দিন বৃহস্পতিবার বাসে চেপে কলকাতায় পৌঁছেই দমদম থেকে দিল্লির বিমান ধরার ছক করেছিল সে। দিল্লিতে পৌঁছে সে দিনই বিমানে ব্যাঙ্ককে হাসিস নিয়ে অভিযুক্ত রওনা হতো। পাচারের ছক ছিল এমনই। নারকোটিক ব্যুরোর তরফে এ দিন আদালতে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী রতন বণিক। তিনি বলেন, ‘‘ধৃতকে প্রাথমিক ভাবে জেরা করা হয়েছে। পরেও বিভিন্ন দফায় জেরা চলবে। তার থেকে অনেক তথ্যই পেয়েছেন গোয়েন্দারা।’’

Advertisement

এসএসবির গোয়েন্দাদের দাবি, পাচারের পেছনে একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে। তেশ বাহাদুর একাই হাসিস নিয়ে জিপে চড়লেও তাকে আগাগোড়া কয়েকজন নজর রেখেছিল। শিলিগুড়ির যে হোটেলে তার রাতে থাকার কথা ছিল, সেখানেও অনেকের দেখা করতে আসার কথা ছিল। তেশ বাহাদুরের মোবাইলও উদ্ধার হয়েছে। তার থেকে আরও বেশ কিছু সূত্র মেলার আশায় গোয়েন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন