Murder

Murder: বৃদ্ধকে কুপিয়ে খুনে অভিযুক্ত মত্ত ছেলে, কোচবিহারে আহত অভিযুক্ত-সহ ৩

অভিযুক্তের পরিবারের সকলেই আহত হওয়ায় এখনও থানায় অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২১ ২১:৩৬
Share:

রক্ষিণীকুমার দেব। —নিজস্ব চিত্র।

মত্ত অবস্থায় বৃদ্ধ বাবাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল কোচবিহারের এক ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে। জেলার উত্তর খাগড়াবাড়ি এলাকায় এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন অভিযুক্ত-সহ তাঁর পরিবারের ৩ জন। তবে অভিযুক্তের পরিবারের সকলেই আহত হওয়ায় এখনও থানায় অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার এলাকার বাসিন্দা শম্ভু দেব মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর বাবা রক্ষিণীকুমার দেব (৯৮)-এর মাথায় আঘাত করেন। স্বামীকে বাঁচাতে এলে তাঁর মায়ের উপরেও ধারালো অস্ত্রের কোপ মারেন শম্ভু। আহত মহিলার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন শম্ভুর বৌদি। তাঁকে বাধা দিতে গেলে বৌদির উপরেও হামলা চালান তিনি। এমনকি, অভিযুক্তের বাড়ির পাশেই চাষের জমিতে কর্মরত শম্ভুর দাদা ছুটে এলে তাঁর উপরেও ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। এর পর অভিযুক্তের হাতে শম্ভুর দাদা লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তাঁর হাত থেকে অস্ত্র পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা শম্ভুকে ধরে ফেলেন। শম্ভুকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এর পর গুরুতর আহত ৪ জনকেই কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁদের শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে আহতদের কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে নিহত হন রক্ষিণী।

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শম্পা ধর বলেন, “রবিবারের হামলায় আহতেরা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার পর শম্ভুকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়েছে। পরিবারের সকলে আহত থাকায় এখনও পুলিশে অভিযোগ করা হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন