রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে এসে উপকৃত হলেন কারবালার চা বাগানের বাসিন্দা মাঙ্গরা ওঁরাও। হাতে পেলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। নিজস্ব চিত্র
ক্যানসার আক্রান্ত তিনি। সরকারি দফতরের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও সাহায্য পাচ্ছিলেন না। ছিল না স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও। ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। অবশেষে রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে এসে উপকৃত হলেন কারবালার চা বাগানের বাসিন্দা মাঙ্গরা ওঁরাও। হাতে পেলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।
শুক্রবার ধূপগুড়ি ব্লকের শালবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দুরামারি চন্দ্রকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে বসেছিল দুয়ারে সরকার প্রকল্পের শিবির। সেখানে উপস্থিত হন বানারহাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কারবালা চা বাগানের ক্যান্টিন লাইনের বাসিন্দা মাঙ্গরা। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত । তাই চিকিৎসার জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু পরিবারে আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসা কী ভাবে করাবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না।
শনিবার বাইরে চিকিৎসা করতে যাওয়ার কথা থাকলেও স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড হাতে না থাকায় ছিল চিন্তা। সেই নিয়েই যোগাযোগ করা হয় ধূপগুড়ি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দপ্তরে। সেখান থেকে লোক মারফত পরিবার পারে দুয়ারে সরকারের শিবিরে গেলে হয়ত সমস্যা সমাধান হতে পারে। আর সেখানে গিয়েই শুক্রবার তিনি হাতে পেলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। এখন অনেকটাই চিন্তামুক্ত চা বাগানের এই আদিবাসী পরিবার।
আক্রান্তের পুত্রবধূ পুনি মন্ডা বলেন, ‘‘ উনি ক্যানসারে আক্রান্ত। আর্থিক সমস্যা থাকায় চিকিৎসা কী ভাবে করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। শুক্রবার দুয়ারে সরকার শিবিরে এসে এক দিনে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পেলাম। আশা করছি এই কার্ড দিয়ে এবার আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারব।’’
আরও পড়ুন: মাইনে কম কেন, বেঙ্গালুরুর আইফোন সংস্থায় হামলা চালালেন ২ হাজার কর্মী
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপিকা ওঁরাও বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, কাস্ট সার্টিফিকেট সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে যাঁরা দীর্ঘদিন সমস্যার সমাধান পাননি, তাঁরা সুরাহা পাচ্ছেন।’’
আরও পড়ুন: আপাতত সঙ্কটমুক্ত বুদ্ধ, ঘুম হয়েছে ভাল, বলছেন চিকিৎসকরা