ব্যাঙ্ক থেকে বেরোতেই পথে ছিনতাই

পিছনে বসে থাকা হেলমেটহীন দুষ্কৃতী চলন্ত মোটরবাইক থেকে ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। রায়গঞ্জ থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের দাবি, দুষ্কৃতীরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই টাকা ছিনতাই করেছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

রায়গঞ্জ

নিজস্ব সংবাদদাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৫২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

রায়গঞ্জের কলেজপাড়ায় শিক্ষকের বাড়িতে চুরির ঘটনার তিনদিনের মাথায় এ বারে দিনেদুপুরে শহরের জনবহুল এলাকায় টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল। বুধবার দুপুরে ব্যাঙ্ক থেকে তিন লক্ষ টাকা তুলে বিধাননগর মোড়ে অটো ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন এক ব্যক্তি। এই সময় মোটরবাইকে আসা দুই দুষ্কৃতী তার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

Advertisement

পুলিশের দাবি, বিধাননগর মোড় এলাকার একটি পোশাকের দোকান ও মধ্যমোহনবাটি এলাকার একটি শপিংমলের সিটিটিভি ফুটেজে ছিনতাইয়ের ঘটনা ও দুষ্কৃতীদের পালিয়ে যাওয়ার ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। মোটরবাইক চালকের মাথায় হেলমেট ছিল। পিছনে বসে থাকা হেলমেটহীন দুষ্কৃতী চলন্ত মোটরবাইক থেকে ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। রায়গঞ্জ থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের দাবি, দুষ্কৃতীরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই টাকা ছিনতাই করেছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

শহরের কাঞ্চনপল্লি এলাকার বাসিন্দা গণেশ সাহা নামে ওই ব্যক্তি এ দিন সকালে বিধাননগর মোড় এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে তিন লক্ষ টাকা তোলেন। গণেশবাবু করণদিঘি থানার টুঙ্গিদিঘি এলাকার একটি চালকলে ম্যানেজারের কাজ করেন। ওই চালকলেরই অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি টাকা তুলে শহরের সুপারমার্কেট এলাকার আরেকটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে যাওয়ার জন্য বিধাননগর মোড় এলাকায় গাড়ির অপেক্ষা করছিলেন। গণেশবাবুর অভিযোগ, প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষার পর শিলিগুড়িমোড়গামী একটি অটো এসে দাঁড়াতেই তিনি ওই অটোতে ওঠার চেষ্টা করেন। ঠিক সেই সময় দু’জন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে এসে তাঁর বাঁ কাঁধে থাকা টাকা বোঝাই ব্যাগটি হ্যাঁচকা টানে নিয়ে মধ্যমোহনবাটির দিকে পালিয়ে যায়।

Advertisement

রবিবার রাতে, দুষ্কৃতীরা কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাইস্কুলের শিক্ষক আনোয়ার সরকারের বাড়ির গ্রিল ও দরজার একাধিক তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে চার ভরি সোনার গয়না ও নগদ ১৫ হাজার টাকা চুরি করে পালায় বলে অভিযোগ। গত ১১ জানুয়ারি দেবীনগর বাজারে ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দীপঙ্কর প্রামাণিকের আলুর আড়তের দরজার তালা ভেঙে দেড়লক্ষ টাকার সোনার গয়না ও নগদ ৪৫ হাজার টাকা চুরি করে বলে অভিযোগ।

পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত সোমের দাবি, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা, নজরদারির অভাব ও ব্যর্থতার জেরে শহরের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তবে সুমন্তবাবু বলেন, ‘‘পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ভিত্তিহীন। আগের বেশিরভাগ চুরির ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের ধরা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন