—প্রতীকী চিত্র।
সাড়ে চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে প্রতিবেশী এক প্রৌঢ়কে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাসিন্দারা। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার ভেন্ডাবাড়ি এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বনমালি দেব। ৬০ বছরের বনমালির বাড়ি স্থানীয় বেকিডাঙ্গা এলাকায়। তিনি বেকিডাঙ্গা ডাকঘরের কর্মী। ৩১ ডিসেম্বর তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। বাসিন্দাদের মারে তাঁর চোখের নিচের অংশে কেটে গিয়েছে। অভিযুক্তকে ইটাহার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিত্সা করানোর পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই শিশুকন্যাটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, তিনি কারও বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করলে, সেই অভিযোগের ভিত্তিতেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিশুটির বাড়ি ভেন্ডাবাড়ি এলাকায়। অভিযুক্ত বনমালির বাড়ি ওই শিশুটির বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে। প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে ওই শিশু ও তার পরিবারের সঙ্গে বনমালির সুসম্পর্ক রয়েছে। বনমালির স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই পুত্রবধূ রয়েছে। ওই শিশুটির বাবা ও মা দু’জনেই দিনমজুরের কাজ করেন। শিশুটির বাবার দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা এক প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। শিশুটি একা বাড়িতে ছিল। তাঁর অভিযোগ, সেইসময় বনমালি বাড়িতে ঢুকে শিশুটিকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সেইসময় ওই শিশুটি চিত্কার করে কান্নাকাটি জুড়ে দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে বনমালি পালিয়ে যায়। রাতভর বাসিন্দারা অভিযুক্তকে খোঁজাখুজি করেও পাননি।
এ দিন সকালে বাসিন্দারা বনমালিকে ভেন্ডাবাড়িতে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে তাঁর দুটি হাত পিছমোড়া করে একটি গাছের গুড়ির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে বাসিন্দারা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। শিশুটির বাবা বলেন, ‘‘বনমালি আমার মেয়ের দাদুর বয়সী। ও ওই কাজ করবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।’’ বনমালির অবশ্য পাল্টা দাবি, কিছু লোক তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।