এক বার গেলে হবে না, বার বার যেতে হবে

বুথে নজর বাড়াতে নির্দেশ কমিশনের

জলপাইগুড়িতে নির্বাচন কমিশনের পাঠানো বিশেষ টিম পোলিং বুথের ওপর নজর দিলেন। রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে সভা করে তাঁরা বিডিও তথা সহকারি রিটার্নিং অফিসারদের পোলিং বুথগুলি বার বার ঘুরে দেখার নির্দেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৬ ০২:৩৯
Share:

জলপাইগুড়িতে নির্বাচন কমিশনের পাঠানো বিশেষ টিম পোলিং বুথের ওপর নজর দিলেন। রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে সভা করে তাঁরা বিডিও তথা সহকারি রিটার্নিং অফিসারদের পোলিং বুথগুলি বার বার ঘুরে দেখার নির্দেশ দেন। জেলা নির্বাচন দফতরের পক্ষ থেকে কিছু সমস্যা তুলে ধরা হয়, সেগুলি নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দেন।

Advertisement

নির্বাচনের বিধি মেনে বুথগুলি ঠিকমত তৈরি হয়েছে কিনা তা সহকারি রিটার্নিং অফিসার বা বিডিওদের ঘুরে দেখতে বলেন। তাঁরা নির্দেশ দেন একবার গেলেই হবে না প্রয়োজনে বার বার ঘুরে দেখুন। কোথায় কী খামতি আছে তা দূর করুন। সভা শেষ করে ফেরার পথে তাঁরা ফণীন্দ্রদেব স্কুলের ঘরে একটি মডেল বুথ পরিদর্শন করেন। সেখানে ইভিএম মেশিনের অবস্থান ভাল করে দেখে কিছু পরিবর্তনের নির্দেশ দেন। যেখানে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে সেরকম একটি ঘরও তাঁরা ঘুরে দেখেন। রবিবার দুপুর দেড়টায় চন্দ্রভূষণ কুমারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বিশেষ দল জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে আসে। আধঘণ্টার জন্য মধ্যাহ্ণ ভোজ সেরে বেলা দু’টোয় তাঁরা জেলার সর্বস্তরের অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বেলা চারটে পর্যন্ত টানা বৈঠক করেন। তারপর সাংবাদিকদের বলেন, “জলপাইগুড়িতে আমরা নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী পুরো প্রক্রিয়ার পর্যালোচনা (রিভিউ) করলাম।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘স্থানীয় ভাবে ব্যবস্থা কীরকম করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখলাম। সবার সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশনের গাইডালইন মেনে সবকিছু করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখলাম। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের শিডিউল অব কন্ডাক্ট অর্থাৎ পোলিং বুথ, ট্র্যান্সপোর্টেশন, ট্রেনিং, ইভিএম মেশিন সব কিছু মিলিয়ে নানা বিষয় আছে। আমরা সমস্ত কিছু নিয়ে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করবো।”

Advertisement

ছিটমহলের ভোটারদের বিষয়ে তাঁরা জানান যে সোমবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। জেলার রিটার্নিং অফিসার বিশেষ কয়েকটি সমস্যার কথা তাঁদের জানান। সেগুলো কী তা অবশ্য জানা যায়নি। তাঁরা সমস্যাগুলির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর আশ্বাস দেন। বিকেল ৪টে ২৫ মিনিটে তাঁদের কনভয় ফণীন্দ্রদেব স্কুলের ট্রেনিং সেন্টারে যায়। সেখানে প্রথমেই তিনি একটি মডেল বুথে ঢোকেন। ইভিএম মেশিন যেখানে বসানো আছে সেই ঘেরা জায়গাটি ঘুরে দেখেন। সেখানে কিছু পরিবর্তনের করার তিনি নির্দেশ দেন। এরপর একটি ট্রেনিং হলে যান। দশ মিনিট কাটিয়ে বিকেল ৪টে বেজে ৩৫ মিনিটে তারা দর্জিলিং-এর পথে শিলিগুড়ির দিকে রওনা হয়ে যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন