গণ্ডারটিকে জঙ্গলে ফেরানোর জন্য এলাকায় দু’টি কুনকি হাতি নিয়ে আসা হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
সপ্তাহান্তের দুর্যোগে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। ঘরছাড়া বহু মানুষ। বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে সেখানকার পশুদের জীবনেও। নদীর জলে ভেসে গিয়েছে গণ্ডার-সহ বহু প্রাণী। তেমনই নদীতে ভেসে আসা বন্য শূকরের হামলায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা ২ নম্বর ব্লকের ঘোকসারডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুলগুড়ি তেতুলের ছড়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ওই এলাকার বাসিন্দা ধীরেন বর্মন তোর্সা নদীর তীরে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। সেই সময় একটি বন্য শূকর ধীরেনের উপর হামলা করে। সেই হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা দুধেশ্বর বর্মন ওই ঘটনা দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। লোকজন এসে ৪৮ বছরের ধীরেনকে উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
অন্য দিকে, গণ্ডারের আতঙ্কে ভুগছেন মাথাভাঙ্গা দুই নম্বর ব্লকের প্রেমেরডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধলোগুড়ি এলাকার মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দারা মঙ্গলবার নদীর তীরে একটি গণ্ডার দেখতে পান। বন দফতরকে খবর দেন তাঁরা। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছোন। গণ্ডারটিকে জঙ্গলে ফেরানোর জন্য এলাকায় দু’টি কুনকি হাতি নিয়ে আসা হয়েছে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত চেষ্টা চালানোর পরেও এখনও ওই তাকে জঙ্গলে ফেরানো সম্ভব হয়নি। গন্ডার জঙ্গলে না ফেরায় আতঙ্কে গোটা এলাকার মানুষ। কোচবিহারের ডিএফও অসিতাব চট্টোপাধ্যায় জানান, বন্য শূকরের হামলায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়ার পরে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান এবং সেই বন্য শূকরের খোঁজ চালান। কিন্তু তার দেখা মেলেনি। অন্য দিকে, গণ্ডারটিকে এখনও জঙ্গলে ফেরানো সম্ভব হয়নি। এলাকায় আরও বন্যপ্রাণী থাকতে পারে বলে মানুষকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।