স্কুলেই তৈরি হত জাল মদ, ধৃত দুই

পুলিশ জানিয়েছে, রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে স্কুলে হানা দেন ইসলামপুর থানার আইসি রাজেন ছেত্রী, রামগঞ্জ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পঙ্কজ ঝা-সহ ইসলামপুর থানার পুলিশকর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৮
Share:

স্কুলের ভিতরেই আস্ত জাল মদ তৈরির ‘কারখানা’! এই ঘটনা জেনেই উদ্বিগ্ন ইসলামপুরের রামগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে রামগঞ্জ ফাঁড়ির কলতাহার কালিবাড়িতে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর জালমদ ও মদ তৈরির সরঞ্জাম। এর পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে স্কুলে হানা দেন ইসলামপুর থানার আইসি রাজেন ছেত্রী, রামগঞ্জ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পঙ্কজ ঝা-সহ ইসলামপুর থানার পুলিশকর্মীরা। সেই সময় ওই স্কুলের ভিতরে জাল মদ তৈরি হচ্ছিল। পুলিশ হাতেনাতে দু’জনকে ধরে ফেলে। পুলিশ জানিয়েছে, জাল মদ একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির লেভেল লাগানো বোতলে ঢুকিয়েই বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। ধৃতদের নাম রাঞ্জেস বসাক ও সদানন্দ বসাক। তাদের বাড়ি বিহারের বাইসি ও ডালখোলার নিশীথপুরে। প্রায় ২৮ কার্টুন সিল করা মদ, ১৫০ লিটার কাঁচা স্পিরিট, ১০০ লিটার রঞ্জক মেশানো স্পিরিট, এক হাজারের বেশি খালি মদের বোতল প্রচুর পরিমানে স্টিকার, বোতল সিল করার ঢাকনা, স্পিরিটে মেশানো জন্য নানা রঞ্জক উদ্ধার হয়েছে। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো জায়গায় এই কাজ এক দিনে হওয়া সম্ভব নয়। তদন্ত শুরুর পর এক এক করে নানা তথ্য উঠে আসবে। ইসলামপুর থানার আইসি রাজেন ছেত্রী বলেন, ‘‘চক্রের বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’

Advertisement

ইসলামপুরের শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই ক্যানালের ধারে গ্রামীণ এলাকায় ওই স্কুলটি। জাতীয় সড়ক থেকেও বেশ কাছে ওই স্কুলটি। এই ঘটনায় উদ্বেগে অভিভাবকেরা। এলাকার বাসিন্দা মালা বৈদ্য বলেন, ‘‘আমার ছেলে ওই স্কুলেই পড়ে। সেখানে জাল মদ উদ্ধার হওয়ার ঘটনা বিশ্বাসই করতে পারছি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement