Amit Shah

বাড়ি পেলেন সেই রাজু, গীতা

গত ২৫ এপ্রিল অমিত শাহ এসে মাহালি পরিবারের মাটির ঘরে বসে ভাত খান। সেই ছবি প্রচার হতেই সেখানে নেমে পড়ে তৃণমূল। দুই দিনের মাথায় ২৭ মে মাহালিদের বাড়ি যান গৌতমবাবু। পরিবারকে নানা আশ্বাস দেন। বিজেপি অভিযোগ তোলে, জোর করে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওই পরিবারকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নকশালবাড়ি শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:৩০
Share:

সাক্ষাৎ: গীতা মাহালির সঙ্গে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র

যাঁদের বাড়িতে বসে দুপুরে ভাত খেয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, সেই রাজু ও তাঁর স্ত্রী গীতা মাহালি পেলেন নতুন বাড়ি। পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং নকশালবাড়ির বিডিও বাপি ধর বুধবার যান সেখানে। বারান্দায় ফিতে কাটেন গৌতমবাবু। বাড়িটি গীতাঞ্জলি প্রকল্পে তৈরি হয়েছে। বছর খানেকের মধ্যে গীতাদেবীকে সরকারি চাকরির আশ্বাসও দিয়েছেন গৌতমবাবু।

Advertisement

গত ২৫ এপ্রিল অমিত শাহ এসে মাহালি পরিবারের মাটির ঘরে বসে ভাত খান। সেই ছবি প্রচার হতেই সেখানে নেমে পড়ে তৃণমূল। দুই দিনের মাথায় ২৭ মে মাহালিদের বাড়ি যান গৌতমবাবু। পরিবারকে নানা আশ্বাস দেন। বিজেপি অভিযোগ তোলে, জোর করে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওই পরিবারকে।

নকশালবাড়ি ব্লকের কটিয়াজোতের সেই মাহালি পরিবার ঘর পাওয়ার পরেই এলাকার অন্তত ২০-২৫ জন তৃণমূল সমর্থক দরিদ্র শ্রমিক এবং কৃষক পরিবার বাড়ির জন্য দরবার শুরু করেছেন। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘এই এলাকায় দরিদ্র পরিবারগুলির জন্য সরকারি আবাসন প্রকল্পে কিছু সমস্যা ছিল। সেগুলি কাটিয়ে যাতে আরও মানুষকে ঘর দেওয়া যায় তার জন্য আবাসনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’’

Advertisement

নকশালবাড়ি পঞ্চায়েতটি সিপিএমের হাতে ছিল। সম্প্রতি তা দখল করেছে তৃণমূল। মাহালি পরিবারও এদিন জানান, তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন। এদিন কলকাতা থেকে ফিরেই রাজু মাহালির বাড়ি যান গৌতমবাবু।

এ দিন মন্ত্রী গীতাদেবীকে জিজ্ঞাসা করেন, বাড়ি তাঁর পছন্দ হয়েছে কি না। ঘরে ঢুকে দেখেন মন্ত্রীও। পরে উঠোনে কয়েকটি গাছের চারাও পোঁতেন তিনি। মাহালিদের পাড়া দক্ষিণ কটিয়োজোতে গ্রাম সংসদ থেকে শেষ পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি জিতেছিল। অমিত শাহ যাওয়ার আগে পর্যন্ত ওই পরিবার কিছু পায়নি বলে অভিযোগ ছিল। তাই সরাসরি ব্লক প্রশাসনের তরফে গীতাদেবীর নাম অনুমোদন করিয়ে গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয় ওই পরিবারকে। তৃণমূলের তরফে কিছু টাকাও দেওয়া হয়। রাজুবাবু নিজেও কিছু টাকা দেন। ওই পরিবারের জন্য নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচাগার, রান্নার গ্যাসের ব্যবস্থা এবং তফসিলি উপজাতির সংশাপত্রের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন মন্ত্রী।

তবে ঘরের পিছনে টাকা খরচা করায় এখনও দুই ছেলেমেয়ের জন্য পুজোর জামাকাপড় কিনতে পারেনি ওই পরিবার। গীতাদেবী চা বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। কয়েক মাস হল তা বন্ধ রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন