প্রতীকী ছবি।
টুকলি সরবরাহ করতে বাধা দেওয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল পরীক্ষার্থীদের পরিজনদের বিরুদ্ধে। পরিজনদের যুক্তি, পরীক্ষার্থীরা ‘মুক্ত’ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাই টোকাটুকির ‘মুক্ত’ অধিকার রয়েছে তাদের।
জলপাইগুড়ি শহরের ফণীন্দ্রদেব ইন্সটিটিউটে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা। গতকালই ইতিহাস পরীক্ষা চালাকালীন অবাধে টোকাটুকি চলে। তারপরে নড়েচড়ে বসে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকাল ৯টা ৪৫-এ বাংলা পরীক্ষা শুরু হয়।
কিছু পরীক্ষার্থী এ দিনও টোকাটুকির চেষ্টা করায় কড়া হাতে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা। কয়েকজনের খাতা নিয়ে নেওয়া হয়। তাদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ধীরেন ঝম্পটি। খাতা ফেরত দেওয়ার দাবিতে বেশকিছু পরীক্ষার্থী ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। যদিও সহকারী প্রধান শিক্ষক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘‘বাজেয়াপ্ত করা খাতা ফেরত দেওয়া হবে না, বরং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এদিকে পরীক্ষা চলাকালীন বহিরাগতরা নকল সরবরাহ দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের ভিতর ঢোকার চেষ্টা করে। তখন দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়াররা তাদের বাধা দেয়। অভিযোগ, বাধা পেয়ে সিভিকদের হুমকি দেয় তারা।
গন্ডগোলের খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা থেকে আরও পুলিশ এসে বহিরাগতদের বিদ্যালয়ের সামনে থেকে হটিয়ে দেয়। খবর সংগ্রহ করতে গেলে সংবাদমাধ্যমকেও হেনস্থা করার চেষ্টা করে বহিরাগতরা। পরে ক্যামেরার সামনে পড়ে মুখ লুকিয়ে পালায় অনেকে।
রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ের মোট ১০২জন পরীক্ষার্থী এই কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত। শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়িয়ে চাকরি পাকা করার তাগিদ থেকেই যেভাবে হোক পাশ করার জন্যই এত সমস্যা, জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থী।
কোতোয়ালির আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানিয়েছেন, এরপরে পরীক্ষাগুলোতেও আরও বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে।