TMC

তৃণমূলের ঝান্ডা পুঁতে জমিদখলের অভিযোগ, মাথাভাঙায় আত্মহত্যার চেষ্টা চাষির

ধীরেন জানিয়েছেন, এক বছর আগে স্ত্রীর মৃত্যুর পর সরকারি প্রকল্পের ২ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:০১
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

সরকারি প্রকল্পের টাকার ভাগ না দেওয়ায় তৃণমূলের ঝান্ডা পুঁতে এক চাষির জমিদখলের অভিযোগ উঠল গ্রাম প়ঞ্চায়েতের এক প্রধানের বিরুদ্ধে। রবিবার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মাথাভাঙার ওই চাষি। অভিযোগ, টাকার অংশ হাতাতে বছরখানেক ধরে তাঁকে হেনস্থা করছেন শাসকদলের ওই প্রধান। এমনকি, খুনেরও হুমকি দিয়েছেন। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই প্রধান। এ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

মাথাভাঙার জোড়পাটকি বাসিন্দাদের দাবি, রবিবার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ধীরেন বর্মণ। তাঁকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছেন।

ধীরেন জানিয়েছেন, এক বছর আগে স্ত্রীর মৃত্যুর পর সরকারি প্রকল্পের ২ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। তবে সে টাকা নেওয়ার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কমলকুমার অধিকারীর স্বাক্ষর-সহ শংসাপত্রের প্রয়োজন ছিল। তাঁর অভিযোগ, ওই টাকার ভাগ চেয়ে তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থার চেষ্টা করেছেন প্রধান। ধীরেন বলেন, ‘‘সরাসরি টাকা না চাইলেও নানা ভাবে তার অংশ দাবি করেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।’’ অভিযোগ, এক মাস আগে ধীরেনের জমিতে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে দেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর অনুগামীরা। সেই ঝান্ডা তুলে ওই জমিতে চাষবাস শুরু করেন ধীরেন। তবে রবিবার ফের ওই জমিতে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগানো হয়। এমনকি, বাড়ির বাইরে পা রাখলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে ধীরেনের অভিযোগ। দিশেহারা হয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে দাবি ধীরেনের। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধানের পাল্টা দাবি, ‘‘যে জমিতে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগানো হয়েছে, সেটি ধীরেনের জমিই নয়। তিনি অন্যের জমি দখল করে রয়েছেন। তাই ওই জমিতে ঝান্ডা লাগানোর দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই জমির কাগজ ধীরেন যদি দেখাতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে জমিটি গরিবদের দান করা হবে।’’ যদিও কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। ফলে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন