ফের স্কুলে নীল তিমির আতঙ্ক

বৃহস্পতিবার গড়ালবাড়ির একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের হাতে আঁচড় কেটে কয়েকটি সংখ্যা এবং ইংরেজি বর্ণ লেখা দেখে শ্রেণিশিক্ষক ওই ছাত্রকে প্রধানশিক্ষকের কাছে নিয়ে যান। প্রধানশিক্ষকের নির্দেশে ছাত্রের কাউন্সেলিং করা হয়।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:০০
Share:

ইন্টারনেটের মারণ খেলা ব্লু-হোয়েলের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে উত্তরবঙ্গ জুড়েই। শিলিগুড়ি, কালিয়াগঞ্জ, নাগরাকাটার পরে এ বার নীল তিমির আতঙ্ক ছড়াল জলপাইগুড়ি শহর লাগোয় গড়ালবাড়িতে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার গড়ালবাড়ির একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের হাতে আঁচড় কেটে কয়েকটি সংখ্যা এবং ইংরেজি বর্ণ লেখা দেখে শ্রেণিশিক্ষক ওই ছাত্রকে প্রধানশিক্ষকের কাছে নিয়ে যান। প্রধানশিক্ষকের নির্দেশে ছাত্রের কাউন্সেলিং করা হয়। জানা যায়, সে ছাড়া স্কুলের আরও তিন জন হাতে একই ভাবে আঁচড় কেটেছে।

ওই ছাত্র দাবি করে, টিউশন নেওয়ার ক্লাসে এক সহপাঠীর ‘নির্দেশেই’ তারা এ কাজ করেছে। ওই সহপাঠী সকলের ছবিও তুলেছে বলে তারা জানায়। এর জেরেই উদ্বেগ ছড়ায় স্কুলে। এ দিনই জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানানো হয় বলে স্কুলের দাবি। আগামীকাল, শনিবার স্কুলে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও করেছেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘ছাত্রের মুখ থেকে পুরো ঘটনা জেনেই শিউরে উঠেছি। আমাদের স্কুলে আরও এক দুজনের নাম জানা গিয়েছে। পাশের কয়েকটি স্কুলের ছাত্রদেরও নাম পেয়েছি। ছাত্রদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।’’ এ দিন বিকেলে স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্রদের বাড়িতে যান। অভিভাবকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।

শিক্ষকদের অনুমান, যে ছাত্রদের নাম স্কুল কর্তৃপক্ষ পেয়েছেন তাদের হয়তো গেমের একটি ধাপে ব্যবহার করা হচ্ছিল। তবে শিক্ষকদের দাবি, তারা সত্যিই ব্লু-হোয়েল খেলছিল না কি অন্য কোনও গেমের শিকার নাকি নিছকই পরিবারের সদস্য কাউকে ভয় দেখানোর জন্য তা বোঝারও চেষ্টা করেছেন তাঁরা। প্রধানশিক্ষক বলেন, ‘‘আমরা অনেক রকম ভাবে কথা বলে দেখেছি। এক সহপাঠীর নির্দেশেই সকলে হাতে আঁচড় কেটেছে বলেই মনে হচ্ছে।’’

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি ভাল করে খতিয়ে দেখতে হবে। কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন