বোল্লার মেলাতেও নোটের গেরো, ক্ষতির ভয়

নোট বাতিলের জেরে বালুরঘাটের বোল্লাকালীর মেলার ব্যবসার পরিমাণ নিয়ে আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার রাতে ঐতিহ্যবাহী সাড়ে সাত হাত উঁচু বোল্লাকালীর পুজো দিয়ে মন্দির চত্বরে শুরু হয়েছে তিনদিনের বিরাট মেলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ০২:৩৩
Share:

বোল্লাকালী। — নিজস্ব চিত্র

নোট বাতিলের জেরে বালুরঘাটের বোল্লাকালীর মেলার ব্যবসার পরিমাণ নিয়ে আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার রাতে ঐতিহ্যবাহী সাড়ে সাত হাত উঁচু বোল্লাকালীর পুজো দিয়ে মন্দির চত্বরে শুরু হয়েছে তিনদিনের বিরাট মেলা। ওই মেলার ব্যবসাতেই পাঁচশো ও হাজারের নোট বাতিলের প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মুদি থেকে মনিহারি, নানা ধরণের পুজোর সামগ্রীর দোকান, মিস্টির দোকান থেকে রেস্টুরেন্ট, বস্ত্র বিপনী, আসবাবপত্র, বাসনকোসন, খেলনা, নানা ধরণের লটারি-সহ কয়েক হাজার দোকান বসে গিয়েছে। মেলায় মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে ম্যাজিক, নাগরদোলা, চিত্রহারের মাধ্যমে জীবন্ত নাচগানের ঘেরাটোপের আসরও। রাতে বোল্লাকালীর পুজো উপলক্ষে এ দিন সকাল থেকেই মন্দির ও মেলা প্রাঙ্গনে মানুষের ঢল নেমেছে। মানতের সোনা, রুপোর অলংকার থেকে শুরু থেকে উৎসর্গ করা কয়েক হাজার পাঁঠা নিয়ে ভক্তরা ভিড় করেছেন। মাটির হাঁড়িভর্তি করে চিনির খাজা, বাতাসা, কদমা ভোগ দিতে দূরদূরান্ত থেকে একাধিক ভক্তরা দুপুরের মধ্যে বোল্লায় পৌঁছে গিয়েছেন।

ক্রেতাদের আশায় বসে রয়েছেন এক বিক্রেতা। বালুরঘাটের বোল্লাকালীর মেলায়। — অমিত মোহান্ত

Advertisement

অন্যদিকে পুজোর সামগ্রী বিক্রেতা থেকে হোটেল রেস্টুরেন্ট বা বড় দোকানিরা খুচরোর সমস্যা শুরুতেই টের পাচ্ছেন। মালদহের বাসিন্দা নির্মল মাহাতো দীর্ঘদিন ধরে বোল্লামেলায় ভেলপুরি, ঘুগনি, মোগলাইয়ের মতো খাবারের দোকান সাজিয়ে বসেন। তিনি জানান, সোমবার ভাঙা মেলা নিয়ে চারদিনে বোল্লা মেলায় গড়ে প্রায় ৯০ হাজার টাকার ব্যবসা হয়। কিন্তু এবারে ৫০০ ও হাজারের নোট বাতিলের জেরে চিন্তায় আছেন বলে জানান তিনি। খুচরো সমস্যায় বিক্রিবাট্টা যে কমবে, তার আঁচ ইতিমধ্যে পাচ্ছেন পুজোর সামগ্রী বিক্রেতা সূরজ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গতবার যে রকম বিক্রিবাট্টা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তা অনেক কম।’’ অবশ্য ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, নোট বাতিলের প্রভাব মেলার ব্যবসায়ে কতটা পড়বে প্রথমদিন গেলে তা স্পষ্ট হবে। এ দিন মেলায় বোল্লাকালীর কাছে মানতের জন্য উৎসর্গ করা পাঁঠার বেচাকেনা পুরনো ৫০০ ও হাজার টাকায় হয়েছে। রামপুরের চঞ্চল রায় বলেন, ‘‘এ দিন ৪৮০০ টাকায় একটি পাঁঠা কেনায় বিক্রেতা তাঁকে ৫০০ টাকার পুরানো নোট দিয়েছেন।’’ কিন্তু পুজোর অন্য সামগ্রী তিনি ওই পুরানো নোটে কিনতে পারেননি বলে জানান তিনি। খুচরোর অভাবে দোকানিরা পুরানো ৫০০টাকার নোট নিতে চাননি বলে জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন