ঘরে বসে নয়, কাজ করতে হবে ময়দানে নেমেই। শুক্রবার কোচবিহারে গিয়ে বিজেপির দলীয় কর্মীদের সেই বার্তা দিলেন কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা।
পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ময়দানে নেমে পড়ছে সব দলই। তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে এ বার বিজেপিও দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে চাইছে। কোচবিহারে এসে সেই পরম্পরা ধরেই বিধানসভা ভিত্তিক বৈঠকে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাড্ডা।
তাঁর কথায়, কর্মীদের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলতে হবে। একবার-দু’বার নয়, বার বার তিনি গ্রামে গ্রামে মানুষের বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বারবার গেলে একটা সম্পর্ক তৈরি হবে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাস কবলিত এলাকাতেও একই কায়দায় প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে ‘নিবিড়’ সম্পর্ক গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পরে তিনি বলেন, “সাংগঠনিক কাজে কোচবিহারে এসেছি। কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাতে দেখেছি কর্মীদের মধ্যে কাজ করার প্রবল মানসিকতা রয়েছে। তাঁরা বিজেপিকে জেতাতে চেষ্টা করছেন। আমরা সেই ফল পাব।”
বিজেপি যে কোচবিহারে শক্তিবৃদ্ধির দিকে বিশেষ করে নজর দিচ্ছে, তার প্রমাণ বারবার মিলেছে। বৃহস্পতিবার মাথাভাঙাও গিয়েছিলেন নাড্ডা। তিনি তৃণমূল নিয়ে প্রকাশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে নাড্ডাকে সামনে পেয়ে কোচবিহারের বিজেপি কর্মীরা তাঁদের ‘নিরাপত্তা’র প্রশ্ন তোলেন। তাতে নাড্ডাও কর্মীদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা বার বার সফরে আসবেন। তিনি নিজেও ঘন ঘন সফরে আসাবেন।
কোচবিহারে তৃণমূলের সংগঠন অনেকটাই শক্তিশালী। সম্প্রতি বিজেপি তাঁদের শক্তি কিছুটা বাড়ালেও জেলার সব জায়গায় তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করার মতো জায়গায় তারা এখনও পৌঁছয়নি। দিনহাটার মতো এলাকা থেকে এখনও অনেক বিজেপি নেতা-কর্মী এলাকা ছাড়া হয়ে রয়েছেন। সেখানে গ্রামে রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়ালেই তাঁদের উপরে হামলা হতে পারে, তা নিয়ে অনেক জায়গাতেই আতঙ্কিত রয়েছেন অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতার কথায়, “আমরা যাতে সমস্ত এলাকায় যেতে পারি, সে ব্যবস্থা করা দরকার।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপি। কোচবিহার তো বটেই, কোথাও তারা ঠাঁই পাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের কাজে সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে।”