তৈরি হবে নতুন মন্দির

দীর্ঘ দিন থেকেই সন্ধ্যা হতে না হতে এই মন্দির চত্বরে নেশার আসর বসতো বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাতের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা৷ মন্দিরে অগ্নিকান্ডের পেছনে অন্তর্ঘাত দেখছেন শাসকদলের নেতাদেরই একাংশ৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৩
Share:

পোড়ার আগে মন্দির। নিজস্ব চিত্র

আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে ভস্মীভূত হওয়ার একদিনের মধ্যেই শিকারপুরের দেবী চৌধুরাণীর মন্দিরকে পুরনো মন্দিরের আদলে গড়ে তোলার তোড়জোড় শুরু করল প্রশাসন। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে শনিবার মন্দির তৈরির ঘোষণা করেন মন্ত্রী গৌতম দেব ও এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী৷

Advertisement

ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পর্যটনমন্ত্রী জানান, দেবী চৌধুরাণীর মন্দির একটি ঐতিহাসিক স্মারক৷ কী ভাবে মন্দিরে আগুন লাগলো তার তদন্ত হচ্ছে৷ তা শেষ হলেই, মন্দিরটি যেমন ছিল ঠিক সেই আদলেই নতুন করে গড়ে তোলার কাজ শুরু হবে৷ মন্দিরকে ঘিরে সৌন্দর্যায়ন, রাস্তার উন্নতি, অতিথিশালা তৈরি সহ বেশকিছু কর্মকাণ্ডের কথা ঘোষণা করেন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান৷ একটি ট্রাস্টি বোর্ড তৈরি করে মন্দিরের ভার তাদের হাতে দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সৌরভবাবু।

দীর্ঘ দিন থেকেই সন্ধ্যা হতে না হতে এই মন্দির চত্বরে নেশার আসর বসতো বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাতের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা৷ মন্দিরে অগ্নিকান্ডের পেছনে অন্তর্ঘাত দেখছেন শাসকদলের নেতাদেরই একাংশ৷ জেলা তৃণমূল যুব নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ঘটনার পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে৷ বিজেপি নেতা দীপেন প্রামাণিক বলেন, ‘‘প্রশাসনের ব্যর্থতা৷ ঐতিহাসিক স্থান রক্ষায় তারা ব্যবস্থা নিতে পারেনি৷’’

Advertisement

এছাড়া ঐতিহ্যবাহী যেসব ধর্মীয় স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই, সেখানে তা লাগাতে উদ্যোগী হল রাজ্য পর্যটন দফতর৷ শিকারপুরে দেবী চৌধুরাণী মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের জেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন