ভস্মীভূত: সুটকাবাড়িতে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। নিজস্ব চিত্র।
ঝড়-বৃষ্টির রাতে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল ১১টি দোকান। কোচবিহারের সুটকাবাড়ি বাজারে সোমবার মধ্যরাতের ঘটনা। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন আয়ত্তে আনে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। যদিও কী ভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনও পরিষ্কার হয়নি। বাসিন্দাদের দাবি, যে সময়ে তাঁরা আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখেছেন, সে সময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। মোমবাতি বা ধূপকাঠি থেকে এই আগুন লাগতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ। একই রকম সন্দেহ করেছে দমকল কর্তৃপক্ষও।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত ১২টা নাগাদ সুটকাবাড়ি বাজারের দুই রিকশাচালক প্রথমে বাজারের ভিতরে একটি মুদির দোকান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। নিমেষেই ওই ধোঁয়া থেকে আগুন জ্বলতে শুরু করে। বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে আসে দমকল। স্থানীয় বাসিন্দা কাউসার আলি ব্যাপারি জানান, এ দিন সন্ধের পর থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। রাতের দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। বাজারের যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে অধিকাংশই মুদির দোকান। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আনিসুর মিয়াঁ, মজিবর রহমানরা জানান, সব দোকানেই চাল, ডাল, তেল মজুত ছিল। প্রশাসন, মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলে জানান সুটকাবাড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পার্থ চক্রবর্তী।
কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে পুনরায় ব্যবসা শুরু করতে পারেন তা দেখা হবে।”