জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
কেন্দ্রীয় সরকারের ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই) রাজ্যের রেশন, মিড ডে মিল ও অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পে নিম্ন মানের চাল সরবরাহ করার চক্রান্ত করছে—মঙ্গলবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার পরে এমনই অভিযোগ তুললেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই সঙ্গে, তিনি দাবি করলেন, সরকার চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক দরে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি ধান কিনেছে। ফলের চালের ঘাটতি নেই।
জ্যোতিপ্রিয়র কথায়, ‘‘এফসিআই রেশন, মিড ডে মিল ও আইসিডিএস প্রকল্পে রাজ্য সরকারকে বছরে প্রায় ২৯ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সরবরাহ করে। কিন্তু আমরা জেনেছি এ বছর এফসিআই ঝাড়খণ্ড সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আনা নিম্নমানের চাল এ রাজ্যে সরবরাহ করার চক্রান্ত করেছে। আমাদের রাজ্যে চালের ঘাটতি নেই। তাই এ বছর আমরা এফসিআইয়ের কাছ থেকে চাল নেব না।’’
মন্ত্রীর দাবি, এ বছর এখনও পর্যন্ত সরকারি নির্দেশে রাজ্যের চালকল মালিকরা চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক দরে ধান কিনে তা ভাঙিয়ে রাজ্যকে ৪০ লক্ষ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল তুলে দিয়েছে। এই প্রথম এত পরিমাণ চাল রাজ্য সরকার সংগ্রহ করল। গত বছর সর্বোচ্চ ৩৮ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করেছিল রাজ্য সরকার।
জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছেন, এ বছর রাজ্য সরকার উত্তর দিনাজপুর জেলায় চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক দরে ২ লক্ষ ৩২ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। তার মধ্যে ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ২৮ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে চালকল মালিকদের সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এফসিআইয়ের গোডাউনে চাল রাখতে গিয়েও রাজ্যের চালকল মালিকদের ঘুষ দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন জ্যোতিপ্রিয়। তিনি বলেন, এরপর থেকে এমন অভিযোগ আসলে রাজ্য ব্যবস্থা নেবে।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় চাল মজুত রাখতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য জেলায় ৫ হাজার মেট্রিক টনের একটি ও ১ হাজার মেট্রিক টনের ৫টি গোডাউন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী জেলায় জেলায় কৌশলে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে, অভিযোগ সত্যি হলে রাজ্য সরকার দীর্ঘ দিন আগেই আইনগত ব্যবস্থা নিত।